নিউজ ডেস্ক:
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ পর্যন্ত কোনো ধরনের আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। তিনি বলেন, আমরা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আবগারি শুল্ক চিরদিনের জন্য মুক্ত করেছি। এরপর ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করেছি।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদে বাজেট আলোচনায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের হিসাবে আবগারি শুল্ক আদায় নতুন কিছু নয়। এই শুল্ক ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে, যা ২০০৯ সাল
থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেট ১ লাখ পর্যন্ত কোনো ধরনের আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। আমরা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত চিরদিনের জন্য আবগারি শুল্ক মুক্ত করেছি। এরপর আমানতের ওপর ৮’শ টাকা থেকে আবগারি শুল্ক শুরু করে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপরও যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। আমাদের অর্থমন্ত্রী বিচ্ছিন্ন কেউ নন। তিনি এদেশেরই মানুষ। এরপরও আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বাজেটে দেশের মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বাজেট এখন কোনো ভীতি নেই। তবে সমালোচনা রয়েছে। সকল আলোচনা-সমালোচনা গুরুত্বের সাথে নেওয়া হবে। বাজেটের আকার নিয়ে অনেক কথা হয়। সিপিডি সব সময় বলেছিল বড় বাজেট। এখন বড় বাজেটের পক্ষে তারা বলছেন। কারণ আওয়ামী লীগ এর আগে বড় বাজেট দিয়ে বাস্তবায়ন করেছে।
মান্নান বলেন, গত কয়েক বছরে প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ থেকে শুরু করে ৮ এর কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি। বড় বাজেটের প্রধান অর্থ আদায় হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে। আয়কর, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) থেকে প্রতিষ্ঠানটি অর্থ আদায় করে। বর্তমানে ভ্যাট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এটা নতুন কিছু নয়। বর্তমানে ১৬৯ দেশে ভ্যাট বাস্তবায়ন রয়েছে। এটা নিয়ে বিতর্ক করার সযোগ নেই। তবে ভ্যাটের হার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বৃহৎ অংশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের ওপর ভ্যাট নেই।
তিনি বলেন, বাজেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা রয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। আমরা চাই এক ব্যক্তি একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু আমরা দেখেছি একজন মানুষ সাত থেকে আটটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তা ঠিক নয়। বাজেটের ঘাটতি নিয়ে কথা হচ্ছে। এটা নিয়ে চিন্তুা করার কিছু নেই। আমাদের অর্থনীতির ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি খাত। আমরা চাচ্ছি স্বাবলম্বী হবো। আমরা সরকারি ও বেসরকারিরা এক সঙ্গে কাজ করব।
রেমিটেন্স প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, প্রবাসীদের পাঠানোর অর্থ আমাদের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ। তাই প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠাতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমরা পূর্ব দিকে জোর দিতে চাই। আমরা কখনোই পশ্চিম দিকে মধ্যপ্রাচ্যের অংশ নই। আমরা চীন ও জাপানসহ সংশিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চাই। বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের নিকটবর্তী প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা ভারতের বাজার নই। আমরা উভয়েই উভয় দেশের বাজার। এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাই।