নিউজ ডেস্ক:
সহমরণ নয়, মৃত্যুর পরেও স্বামীর সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হতে চাননি ১৭ শতকের ফরাসি অভিজাত নারী লুইসি দে কোয়েঙ্গো। সম্প্রতি তার কবর খুঁড়ে এমন এক প্রেমকাহিনি আবিষ্কৃত হল, যার নজির সত্যিই বিরল। আজকের রোম্যান্টিকরা কল্পনাও করতে পারবেন না, কী প্রবল প্রেম থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন লুইসি। তাঁর স্বামী তুসেঁ দে পেরিয়েঁ ছিলেন ব্রিট্যানির এক অভিজাত পুরুষ। তিনি চার্চ-পৃষ্ঠপোষক হিসেবে খ্যাতও ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁর হৃৎপিণ্ডটি তুলে আনা হয় তাঁর শরীর থেকে। এবং তার পরে যা ঘটে, তা অবিশ্বাস্য।
স্বামীর মৃ্ত্যুর ৭ বছর পরে লুইসি মারা যান। তাঁকে স্বামীর কবর থেকে ১২৫ মাইল দূরে সমাহিত করা হয়। ওদিকে স্বামীর দেহ থেকে উপড়ে নেওয়া হৃৎপিণ্ডটিকে ৭ বছর ধরে মমি করে রাখা হয়েছে। লুইসির মৃতদেহের সঙ্গে তাঁর স্বামীর সেই হৃৎপিণ্ডকেও সমাহিত করা হয়। মৃত্যুর পরে তাঁরা যাতে পরস্পরের কাছে থাকতে পারেন, এই বিশ্বাস থেকেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর আগে!
সম্প্রতি ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর প্রিভেন্টিভ আর্কিওলজিক্যাল রিসার্চ-এর প্রত্নতত্ত্ববিদরা ব্রিট্যানির রেনে শহরের সেন্ট জোসেফ কনভেন্টের কবরখানা থেকে প্রায় ৮০০ কবরের মধ্যে খুঁজে পেলেন লুইসির এই আশ্চর্য সমাধি। আরও আশ্চর্য ব্যাপার, লুইসির দেহ, পোশাক ইত্যাদি অতি যত্নে সংরক্ষিত রয়েছে। ৩৫০ বছরের ক্ষয় তাতে থাবা বসাতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞদের মত, ১৭ শতকে ইউরোপে মৃতের দেহ থেকে অঙ্গ তুলে এনে তা তাঁদের আত্মীয়দের প্রদান করার এক রীতি প্রচলিত ছিল। তবে, এই রীতি অনুসৃত হতো খুব কম ক্ষেত্রেই। এ দিক থেকে দেখলে, স্বামীর হৃৎপিণ্ড-সহ লুইসির কবরে যাওয়ার ঘটনা বিরল এক উদাহরণ তো বটেই। সূত্র: এবেলা।