তারা হলেন- ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করান।
বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। যে শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, আমরা যেন সেই শক্তির মতো হয়ে না যাই। তাহলে আমাদের ছাত্র-জনতা যে অভাবনীয় একটা সুযোগ আমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে। যেটা মহান, বলা যায় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ; সেটার অর্জন ও মাহাত্ম্য ম্লান হয়ে যাবে। সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আপনারা জানেন, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটা ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে দেশে এবং এটাই স্বাভাবিক। কারণ ১৫ বা ১৭ বছর একটা স্বৈরাচারী শাসন ছিল। একটা অন্ধকার যুগ ছিল, মানুষের মনে অনেক যন্ত্রণা জমে ছিল। সেটা আউট পাস হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেটা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। যেটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়৷
এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক সংগঠনসহ সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সর্বজনগ্রহণযোগ্য একটি সরকার গঠনের প্রচেষ্টা নিয়েছিলাম। গত ৩ দিন আমরা দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও সকলের সম্মতিতে এমন একটি সরকার গঠন করতে পেরেছি।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ১৩ উপদেষ্টারা হলেন-
উপদেষ্টা:
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৩. ড. আসিফ নজরুল
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
৭. শারমিন মুরশিদ
৮. আদিলুর রহমান খান
৯. ফরিদা আখতার
১০. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১১. নুরজাহান বেগম
১২. মো. নাহিদ ইসলাম
১৩. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া