আগামী ১৭ আগস্ট থেকে বন্ধ থাকা মেট্রোরেল চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার (১১ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) ডিএমটিসিএলের একটি সূত্র গণমামাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানিয়েছিল, কবে নাগাদ মেট্রো চলাচল শুরু হবে, তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত করবে। দুই স্টেশন ছাড়া ১৪ স্টেশনে মেট্রোরেল যেকোনো সময় চালু করা সম্ভব। সিদ্ধান্ত পেলেই মেট্রোরেল চালু করা হবে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেলর সব ব্যবস্থাই সচল আছে। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে এর সব ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, তা দেখার জন্য পরীক্ষামূলক চালানোর আন্তর্জাতিক রীতি আছে। সে ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের অনুমতি পেলে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে। তবে পরীক্ষামূলক চলাচল এক দিন না আরও বেশি করা হবে, তা নির্ভর করছে ডিএমটিসিএলের কারিগরি দলের ওপর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশবক্স ও ফুটওভারব্রিজে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগের পর ওইদিন বিকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। পরদিন ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
২২ জুলাই মেট্রোরেলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ এবং কবে নাগাদ এটি আবার চালু করা যায় তা নির্ধারণে মেট্রোরেল লাইন-৬ এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়াকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে দেয় ডিএমটিসিএল। কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই থেকে বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল। অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের ডাকা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরমধ্যে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন।