নিউজ ডেস্ক:
১৫ দিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ২ অক্টোবর সোমবার রাত ১০টায় ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ৯২৪ নম্বর ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে লন্ডনে ফিরলেন তার বোন শেখ রেহানা।
লন্ডন সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হিথরো এয়ারপোর্টে অবতরণের কথা শেখ হাসিনার। ৩ দিন লন্ডনে অবস্থানের পর ৭ অক্টোবর ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডালাস ইন্টারনাশনাল এয়ারপোর্টে মা এবং খালাকে বিদায় অভ্যর্থনা জানান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ক্রিস্টিনা জয়। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ছাড়াও এয়ারপোর্টে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, আওয়ামী লীগ নেত্রী শাহানারা রহমানসহ মেট্র ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
জাতিসংঘে ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে টানা নবম বছরের মত গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণের পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়ায় গমন করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তার একমাত্র পুত্র ও আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় অবস্থানকালে ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার তার পিত্তথলীতে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রামে থাকলেও তিনি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ফাইলে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর করেন ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করেই।
এছাড়া ১ ও ২ অক্টোবর তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারের দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর সাথে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেছেন। সর্বশেষ ২ অক্টোবর সোমবার বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টা কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ১৪ নেতার সাথে। এ সময় তিনি দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন সামনের বছরের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের করণীয় সম্পর্কে এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ইমেজ সমুন্নত রাখতে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে। সভানেত্রীর সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ ঐ বৈঠকে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদিকা আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহ বখতিয়ার, নির্বাহী সদস্যা শাহানারা রহমান এবং ডেনি চৌধুরী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ছাড়াও ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন।