বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
বুধবার, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

১৫৬ পোশাক কারখানার সঙ্গে অ্যালায়েন্সের সম্পর্ক ছিন্ন !

নিউজ ডেস্ক:

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ না করার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মোট ১৫৬টি তৈরি পোশাক কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি (অ্যালায়েন্স)।

গতকাল বুধবার অ্যালায়েন্স সুত্র জানায়, ১৫৬টি কারখানার মধ্যে জুন মাসে দুটি কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়। কারখানা দুটি হলো- লিবার্টি পলি জোন (বিডি) লিমিটেড এবং বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড। এ ছাড়া গত মাসে ১০টি কারখানাসহ এ পর্যন্ত মোট ৯২টি কারখানা কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান (সিএপিএস) সম্পন্ন করেছে।

জুনে সংস্কার শেষ করা কারখানাগুলো হলো- মেহনাজ স্টাইল অ্যান্ড ক্রাফট লিমিটেড, তিতাস স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক, জেএমএস গার্মেন্টস লিমিটেড, কর্ণফুলী স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, লালমাই স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মার্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড, টয় উডস (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড, ইউনিয়ন এক্সেসরিজ লিমিটেড এবং ইয়ংগন স্পোর্টস সুজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

দেশের গার্মেন্টস কারখানার বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত সংস্কার তদারকির লক্ষ্যে ২০১৩ সালে গঠিত হয় অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। এটি অ্যালায়েন্স নামে পরিচিতি। প্রায় ৬০০ কারখানার সংস্কার কাজ তদারক করছে এ জোট। এর বাইরে অ্যাকর্ড নামে ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে আলাদা একটি জোটও প্রায় দেড় হাজার কারখানার সংস্কার কাজ তদারকি করছে।

আগামী ২০১৮ সালে তাদের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে অ্যালায়েন্সভুক্ত সব কারখানাকে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সংস্কার সম্পন্ন করতে ব্যর্থ কারখানা অ্যালায়েন্সভুক্ত ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবে না। এরই অংশ হিসেবে সংস্কারে পিছিয়ে থাকা কারখানার সঙ্গে ব্যবসা বাতিল করা হচ্ছে। অবশ্য এসব কারখানার ফের অ্যালায়েন্সের মানদণ্ড অনুযায়ী সংস্কার সম্পন্ন করতে পারলে তারা অ্যালায়েন্সের সঙ্গে ব্যবসায় ফিরতে পারবে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular