নিউজ ডেস্ক:
দেশে চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত থাকায় ৫ থেকে ১০ লাখ টন বোরো চাল রফতানির চিন্তা করছে সরকার।আজ মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ফসলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ও গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বোরো ধান কাটা হয়ে গেলে ১৫-২০ দিন পর সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব এবার ৫-১০ লাখ টন চাল রফতানি করা যায় কি না। এ চাল রফতানি করলে কোনো অসুবিধা হবে না। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারব, দেশের ভাবমূর্তিও বাড়বে।বর্তমানে ধান উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বোরো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আরও উদ্বৃত্ত হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উদ্বৃত্ত ধান রফতানি করতে পারব।সরকার এ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ বোরো চাল কিনছে প্রতিকেজি ৩৬ টাকায়, যা গতবারের থেকে দুই টাকা কম।দেশে চাহিদার তুলনায় চালের মজুদ বেশি এমন তথ্য তুলে ধরে গত ১৮ এপ্রিল বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে চাল রফতানির প্রস্তাব দিয়েছেন চালকল মালিকরা। চাল রফতারি না করলে কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে বলেও যুক্তি দিয়েছেন তারা। তাদের এ প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ধান-চালের উৎপাদন ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।এদিকে কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে দেশের প্রায় ৩৫টি জেলায় ২০৯টি উপজেলায় বোরো ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান ফসলের প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমি আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ৪৯ হেক্টর জমি সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বোরো ৫৫ হাজার ৬০৯, সবজি তিন হাজার ৬৬০, ভুট্টা ৬৭৭, পাট দুই হাজার ৩৮২ও পান ৭৩৫ হেক্টর জমি আংশিক ক্ষতি হয়েছে।