নিউজ ডেস্ক:
স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কৌশল রয়েছে। কৌশলগুলো প্রয়োগ করলে সামগ্রীকভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বেড়ে যাবে। তেমনি ১০টি কৌশলের কথা জেনে রাখুন-
প্রতিদিন কিছু অনুশীলন : মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্য আপনার প্রতিদিন কিছু অনুশীলন করা প্রয়োজন। এগুলোর উদ্দেশ্য আপনার একাগ্রতা ও মনোঃসংযোগ তৈরি করা। এক্ষেত্রে সাধারণ কিছু কাজ হলেও অসুবিধা নেই। তবে কাজগুলো করতে হবে মনোযোগের সঙ্গে। এগুলো হতে পারে- আপনার বাঁ হাত দিয়ে (কিংবা আপনি যদি বাঁহাতি হন তাহলে ডান হাত দিয়ে) ছবি আঁকা ও দাঁত ব্রাশ করা। এছাড়া নতুন কোনো ভাষার সিনেমা সাবটাইটেলসহ ভালোভাবে দেখা ইত্যাদি।
সঙ্গীত : বিভিন্ন ধরনের সুমধুর সঙ্গীত আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। আর তাই মোজার্ট বা এ ধরনের সঙ্গীত শুনুন ২০ থেকে ৩০ মিনিট।
ডাইস এক্সারসাইস : এক্ষেত্রে লুডু খেলায় ব্যবহৃত কয়েকটি ডাইস নিয়ে আপনি অনুশীলন করতে পারেন। প্রথমে ৩-৪টি ডাইস নিন। এরপর তা একস্থানে ছেড়ে দিয়ে প্রত্যেকটিতে কত সংখ্যা উঠেছে, তা দেখুন। এরপর তা ঢেকে দিয়ে সংখ্যাটি মনে করুন। ক্রমে ডাইসের সংখ্যা বাড়ান।
পর্যাপ্ত ঘুম : মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত না ঘুমান তাহলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আপনার প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
বুদ্ধির খেলা : নানা ধরনের বুদ্ধির খেলা খেলুন। এগুলো আপনার মস্তিষ্ককে ধারালো করবে। এসব খেলার মধ্যে থাকতে পারে দাবা, শব্দ সাজানো কিংবা নানা ধরনের ধাধা।
পুষ্টিকর খাবার : কিছু খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, ডার্ক চকলেট, পনির, অলিভ অয়েল, মূলা, সয়া, রসুন, পালং শাক, কলা, আপেল ও ডিম। নিয়মিত এসব খাবার খান। এছাড়া ভিটামিন সি, বি ও ডি যুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।
সুস্থ দেহ : দেহের সুস্থতার ওপর মস্তিষ্কের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই দেহের শর্করার মাত্রা, কোলস্টেরল, রক্তচাপ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এজন্য নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনও করতে হবে।
পড়াশোনা : নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ুন। এতে আপনার শব্দভাণ্ডার যেমন বাড়বে তেমন মস্তিষ্কের বিশ্লেষণী ক্ষমতাও বাড়বে ১৫ শতাংশ।
ধূমপান বাদ দিন : ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাই ধূমপান বাদ দিন।
সামাজিক হোন : বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে মেশা ও তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে এজন্য নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে গিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনার মানুষদের সঙ্গেই বেশি করে সামাজিক হতে হবে।