নিউজ ডেস্ক:
এখন চৈত্র মাস। প্রায় দিনই প্রচন্ড তাপদাহ থাকার সম্ভাবনা বেশি দিনের বেলায়। তাছাড়া গ্রীষ্মকালের দিশেহারা গরম তো এখনো বাকি রয়েছেই।
এই গরম কালে একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক। প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে।
হিট স্ট্রোকে অজ্ঞান হওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যুও হতে পারে। তাই মারাত্মক গরমের শরীর রাখতে হবে ঠান্ডা। প্রচন্ড গরমের পরিস্থিতে হেট স্ট্রোক এড়াতে কিছু খাবার নিয়ে এ প্রতিবেদন।
তেঁতুল পানি: অল্প পরিমাণ তেঁতুল পানি ১০ মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় খনিজ, ইলেকট্রোলাইটস এবং ভিটামিন, যা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্লাম: গরমকালে শরীরে পানির মাত্রাকে ঠিক রাখাই আমাদের সব থেকে প্রথম কাজ। আর এই কাজটাই করে থাকে প্লাম। সেই সঙ্গে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এই ফলটি। পরিমাণ মতো প্লাম নিয়ে পিষে নিন। তারপর তা পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
ডাবের পানি: গরম থেকে বাঁচতে ডাবের পানির কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই গরমে যদি প্রতিদিন একটা করে ডাব বা বাটার মিল্ক খেতে পারেন, তাহলে শরীর একেবারে চাঙ্গা থাকবে। ডাবের পানি আর বাটার মিল্ক শরীরে খনিজের ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
পুদিনা পাতার জুস: অল্প পরিমান পুদিনা পাতা নিয়ে জুস বানিয়ে ফেলুন। এই জুস গরম কালে প্রতিদিন খেলে হিট স্ট্রোকের কবলে পরার আশংকা কমে।
আপেল সিডার ভিনেগার: এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। শরীরে খনিজ এবং ইলেকট্রোলাইটসের ঘাটতি দূর হবে। ফলে অতিরিক্ত গরম এবং ঘামের কারণে শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকবে না।
অ্যালোভেরা জুস: গরম থেকে বাঁচতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুনভাবে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস পান করলে শরীর গরম সহ্য করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।
চন্দন পেস্ট: শরীরের তাপমাত্রা কমাতে চন্দনের পেস্ট দারুন কাজে দেয়। অল্প করে চন্দন বেটে নিয়ে সেই পেস্ট কপালে এবং বুকে লাগালেই শরীর ঠান্ডা হতে শুরু করে।
পেঁয়াজের রস: শুনতে যতই আজগুবি লাগুক না কেন, গরম থেকে বাঁচতে পেঁয়াজের রসের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কানের পিছন দিকে এবং বুকে পেঁয়াজের রস লাগাতে হবে। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। সেই সঙ্গে কমবে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও।