চিকিৎসক-নার্স লাঞ্ছিত, ক্ষমা চেয়ে অভিযুক্ত পার!
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবিরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে অভিযুক্ত তরিকুল পার পেয়ে যায়।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবিরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে অভিযুক্ত তরিকুল পার পেয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও নার্সরা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে জীবননগর উপজেলার ধোপাখালি গ্রামের মৃত আন্দুল আজীজের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ছিলেন বলে জানান চিকিৎসক। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে রাবেয়া খাতুন মারা যান। এ সময় তাঁর ছোট ছেলে তরিকুল ইসলাম চিকিৎসকদের কর্তব্যের অবহেলার অভিযোগ তোলেন। খবর পেয়ে আরএমও শামীম কবির দ্রুত ওই রোগীর নিকট যেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তরিকুল ইসলাম চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ তুলে আরএমওকে জামার কলার চেপে ধরে মারমুখী আচরণ করেন। এ সময় দুই সিনিয়র নার্স আছিয়া খাতুন ও শিউলি পারভিনকে গালিগালাজ করেন তরিকুল। নার্স আছিয়া খাতুনকে স্কেল দিয়ে মারতে গেলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে টেবিবে লেগে স্কেলটি ভেঙে যায়। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে পুরো হাসপাতালজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে ওই ওয়ার্ডে থাকা প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলেন, এ ঘটনায় চিকিৎসকের কোনো অবহেলা নেই। মা মারা যাওয়ায় তরিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জনসহ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে বিষয়টি মীমাংসা করেন। অভিযুক্ত তরিকুলেল মা মারা যাওয়ায় তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, যদি কোনো রোগী স্ট্রোক করে অজ্ঞান হয়ে যায়, তাহলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বিবেচনা করা হয়। এখানে কোনো চিকিৎসকের অবহেলা নেই। আরএমও ডা. শামীম কবিরকে জামার কলার চেপে ধরা এটা আসলেই জঘন্য। তাঁর মা মারা যাওয়ায় বিষয়টি বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, তাই মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।