নিউজ ডেস্ক:
বার্লিনে লরি হামলার পর কড়াকড়ির মধ্যেই বড়দিনের উৎসবের মৌসুমে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে সন্দেহভাজন দুই ভাইকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ।
কসোভোয় জন্ম নেওয়া দুই ভাই নেদারল্যান্ড সীমান্তের লাগোয়া জার্মান শহর ওবেরহসেনে একটি শপিং মলে হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। ৩১ ও ২৮ বছর বয়সী দুইজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে ডুইসবুর্গ শহর থেকে পুলিশ তাদের আটক করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পুলিশ বলছে, এ দুই ভাইয়ের সঙ্গে গত সপ্তাহে ক্রিসমাস মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলার কোনো যোগসাজশ নেই।
গেল সোমবারের ওই হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৪৯ জন আহতের পর থেকে জার্মানিজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা চলছে।
বার্লিনের হামলাকারী সন্দেহে তিউনিসিয়ান আনিস আমরিকে ধরতে ইউরোপজুড়ে চলছে তল্লাশি; লরির ভেতরে আমরির আঙ্গুলের ছাপ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে জার্মান পুলিশ।
আমরিকে ধরিয়ে দিতে তিউনিসিয়ায় তার পরিবারের কাছেও অনুরোধ করেছে জার্মান সরকার। এর প্রেক্ষিতে আমরির পরিবারও তাদের ছেলেকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে।
তিউনিসিয়ায় থাকা আমরির ভাই আবদেলকাদের বলেন, “আমার ভাই যদি শুনে থাকে, পরিবারের স্বার্থেই তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলব; আমরা সবাই তাতে স্বস্তি পাব।”
তিনি বলেন, “যে কাজের জন্য তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, সত্যিই যদি তা করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও আমার ধারণা সে নিরপরাধ।
“আমি জানি কেন সে বাড়ি ছেড়েছিল; ছেড়েছিল অর্থনৈতিক সঙ্কটে; কাজ করতে বাড়ি ছেড়েছিল সে, পরিবারকে সাহায্য করার আশা নিয়ে। সে সন্ত্রাসী হতে বাড়ি ছাড়েনি,” বলেন আবদেলকাদের।
যেখানে হামলার জন্য আমরিকে হন্যে হয়ে পুলিশ খুঁজছে, বার্লিনের প্রাণকেন্দ্র ব্রাইটশেইডপ্লাৎজের সেই ক্রিসমাস মার্কেট বৃহস্পতিবার আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, আবার খোলা হলেও উৎসবের সেই প্রাণ আর বাজারে নেই। বাজারের চারপাশে নিভু নিভু করে জ্বলছে আলো, গান বাজানোও বন্ধ।
ফুলেল শ্রদ্ধা আর মোম জ্বালিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে নিহতদের; যাদের মধ্যে ছয়জন জার্মান, এক ইসরায়েলি পর্যটক, এক ইতালিয় নারী এবং ট্রাকটির পোলিশ চালক রয়েছেন।
ফের হামলার আশঙ্কায় কংক্রিটের দেয়াল তুলে ওই বাজার ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।