১৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা থেকে শুক্রবার সকাল ১২ পর্যন্ত,। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কর্ণায় গ্রামের পাশে ঢেপা নদীর তীরে এই আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই ক্যাম্পিংয়ে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নূর বলেন যে, “পড়াশোনার পাশাপাশি বিনোদন এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন আমাদের উৎফুল্ল করে। ৪র্থ বারের মতো আমি এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছি। প্রতিবারই আমি খুব উপভোগ করেছি। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার অনুভুতি উপলব্ধি করেছি এখানে।”
আরেক শিক্ষার্থী সরকার শাহরিয়ার আকাশ বলেন যে, “আমি অপেক্ষায় থাকি এই ক্লাবের আয়োজনের জন্য। বিকেল থেকে আজকে সকাল পর্যন্ত অনেক বিনোদন মূলক ইভেন্ট ছিলো যেমন, রাতে ক্যাম্প ফায়ার, বার্বি কিউ পার্টি, সকালে চা-নাশতা, ফুটবল খেলা, দৌড় ও কাবাডি খেলা যা আমাদের মন ও স্বাস্থ্যকে উৎফুল্ল করে। পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে এখানে এসে। ধন্যবাদ হাবিপ্রবি অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবকে ”
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের সভাপতি মোঃ উসমান গনি রাসেল বলেন যে , “দক্ষিণাঞ্চলের থেকে উত্তরাঞ্চলে পর্যটন এড়িয়া অনেক কম। আমরা চাই বিভিন্ন পর্যটন এড়িয়ার সন্ধান করে পর্যটকদের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে। ”
তিনি আরো বলেন,” প্রতিটি নতুন কমিটিতে আমরা তিনটি ইভেন্টের আয়োজন করে থাকি, তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমাদের প্রথম ইভেন্ট ছিল। আমাদের পরবর্তী আয়োজন ইফতার পার্টি এবং ঘুড়ি উৎসব। আশা করছি সফলভাবে আয়োজন করতে পারবো ইনশাল্লাহ। ”
অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন যে, “আমাদের অ্যাডভেঞ্চার ক্লাবের প্রতিটি আয়োজন সদস্যরা খুব বেশি উপভোগ করে। আমরা চাই সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে এই ক্লাবের পরিধি ছড়িয়ে পড়ুক। আমাদের পরবর্তী আয়োজনগুলো আরো অনেক বড় পরিসরে করতে চাই। ধন্যবাদ প্রতিটি সদস্যকে যারা সহযোগিতা করেছেন আমাদের এই আয়োজনকে সফল করতে।”
উল্লেখ্য, উক্ত এ আয়োজনের অংশ হিসেবে প্রকৃতি ও মানব সৃষ্ট শহীদ মিনারে ৫২ এর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন শিক্ষার্থীরা।