নিউজ ডেস্ক:
জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে হাইব্রিড গাড়ির দামের ওপর ৩৫ শতাংশ সাবসিডি সুবিধা দাবি করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডন এ দাবি জানান।
এর আগে ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় প্রায় একই ধরনের দাবি জানিয়েছিল সংগঠনটি। কিন্তু ওই দাবিতে সাড়া মেলেনি।
বারভিডার এবারের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জ্বালানি সাশ্রয়, যাত্রীর নিরাপত্তা, দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির হাইব্রিড গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সাধারণ গাড়ির দামের চেয়ে হুবহু একই মডেলের হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ির মূল্য ২১ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি। তাই ২৫ শতাংশ সাবসিডি দিয়ে শুল্কায়ন করা হলে হাইব্রিড গাড়ি আমদানি বৃদ্ধির ফলে সরকারের রাজস্ব নিশ্চিত বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হবে না।
প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়, সাধারণ গাড়ি ও হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি ভিন্ন ভিন্ন চেসিস কোডের আওতায় নির্মিত হয়। তাই শুল্কায়নে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে না। কিংবা কোনো টেকনিক্যাল কমিটি প্রয়োজন হবে না। তাই ইয়েলো বুকে প্রদর্শিত নতুন হাইব্রিড গাড়ির দামের ওপর ৩৫ শতাংশ সাবসিডি দিয়ে ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এর পাশাপাশি হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় বছরের জন্য ২০ ও ৩০ শতাংশ এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বছরের জন্য যথাক্রমে ৪০, ৪৫ ও ৫০ শতাংশ অবচয় সুবিধা দিতে হবে। আর একই সুবিধা হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রেও একই প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির সংজ্ঞা ও অবচয় প্রদানের উদ্দেশ্যে গাড়ির বয়স গণনা পদ্ধতি সংশোধনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।
এ ছাড়া বেশি যাত্রী পরিবহণে সক্ষম ১২ থেকে ১৫ আসনের মাইক্রোবাস আমদানির সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় বারভিডার পক্ষ থেকে। এর পক্ষে যুক্তিতে বারভিডার পক্ষ থেকে বলা হয়, পর্যটন শিল্প, অফিস, করাখানা, শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনে ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি কাজে এসব মাইক্রোবাস গণপরিবহনের সমার্থক হিসেবে কাজ করে। তাই আশা করছি, বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ব্যবহারে নিয়োজিত ওই মাইক্রোবাসকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (মূসকনীতি) ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন। সভায় এনবিআর ও বারভিডার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।