নিউজ ডেস্ক:
যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিজেদের সামরিক সক্ষমতার জানান দিতে নিত্য নতুন সমরাস্ত্র তৈরি করে চলেছে পরাশক্তিরা। এবার পরমাণু হামলার ‘হাইপারসনিক’ প্রস্তুতি নিচ্ছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন।
দেশটির হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান মাত্র ১৪ মিনিটে পৌঁছে যাবে মার্কিন উপকূলে, চালাতে পারবে পরমাণু হামলাও।
শুধু যে যুক্তরাষ্ট্র তা নয়, খুব অল্প সময়েই যুদ্ধবিমানটি পারমাণু বোমা ফেলতে পারবে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে। দুই-তিন বছরের মধ্যেই এই হাইপারসনিক জেট আকাশে উড়বে বলে দাবি করেছে হংকং ভিত্তিক সংবাদপত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
হাইপারসনিক জেটটি তৈরির কাজ চলছে বলে এক চীনা বিজ্ঞানীকে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে। জেটটিকে পরীক্ষা করা হবে একটি উইন্ড টানেলের মধ্যে। সেই বিশেষ উইন্ড টানেলও এখন নির্মাণাধীন।
এদিকে ২০২০ সালের মধ্যেই টানেলটি তৈরি হয়ে যাবে বলে চীনা বিজ্ঞানী ঝাও ওয়েই সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে জানিয়েছেন। সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে চীনের এই হাইপারসনিক এয়ারক্র্যাফ্ট। অর্থাৎ শব্দের ৩৫ গুণ বেগে।
এই বেগে উড়লে চীন থেকে আমেরিকার উপকূলে পৌঁছতে মাত্র ১৪ মিনিট লাগবে।
এই প্রকল্প অবশ্য চীনের প্রথম হাইপারসনিক জেট প্রকল্প নয়। ডিএফ-জেএফ নামে একটি হাইপারসনিক জেট ২০১৩ সালেই তৈরি করে ফেলেছে চীন। এ পর্যন্ত অন্তত সাত বার তার পরীক্ষামূলক উড়ানও সফল হয়েছে বলে ডেইলি মেল সূত্রের খবর। এ
ই ডিএফ-জেডএফ শব্দের পাঁচ গুণ এবং ১০ গুণ বেগে উড়তে পারে। ডিএফ-জেডএফ ব্যবহার করেই পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে চীনের পক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো বা পরমাণু বোমা ফেলা সম্ভব বলে চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি। কিন্তু তার চেয়েও অনেক শক্তিশালী, দ্রুতগামী এবং প্রায় অপ্রতিরোধ্য জেট তৈরির পথে চীন অনেকটা এগিয়েছে বলে হংকং ভিত্তিক সংবাদপত্রটি জানাচ্ছে।