নিজস্ব সংবাদাতা, ঝিনাইদহঃ হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদহ গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষন ও অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক ফারুক আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সে নারী শিশু আদালতের বিচার মোঃ মিজানুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পন করে। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। হরিণাকুন্ডু থানার এসআই আওয়াল হোসেন জানান, জোড়াদহ গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে চার মাস ধরে ধর্ষন করে ফারুক হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। ধর্ষনের ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় আনোয়ারা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটনো হয়। গত ২৮ জুলাই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারী হরিণাকুন্ডু থানায় ধর্ষন মামলা করেন। মেশিনারিজ ব্যবসায়ী ধর্ষক ফারুক হোসেন হরিণাকুন্ডুর জোড়াদহ গ্রামের তাইজাল হোসেনের ছেলে। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, ফারুকের দোকানে ধর্ষিতার ৯ বছরের ছেলে মাজিজুল হক কাজ করতো। সেই সুবাদে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ফারুকের। ধীর্ঘদিন যাতায়াতের এক পর্যায়ে ফারুক ওই প্রতিবন্ধি নারীর সাথে শ্যালিকা সম্পর্ক স্থাপন করে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়লে লম্পট ফারুক তাকে উপজেলার আইজুদ্দিন মোড়ের একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটানো হয়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ধর্ষক ফারুককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালে সে গোপনে বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পন করে বলে জানতে পেরেছি।