রির্পোট : ইমাম বিমান: পুলিশ কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চ্যানেল এস এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি নির্ভিক সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম জীবনকে রিভলভার ছিনতাই ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশের সাংবাদিক সমাজ স্বোচ্চার। হবিগঞ্জ জেলার সাংবাদিক জীবনকে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে নি:শর্ত মুক্তি না দিলে সারাদেশের সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। অপরদিকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি জুডিশিয়াল তদন্তেরও দাবি করেছে সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন বিএমএসএফ।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন বিএমএসএফ’র সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, ঐ সাংবাদিককে আগামি ২৪ ঘন্টার মাধ্যে নি:শর্তে মুক্তি দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি বর্বর নির্যাতন এখনই থামান। নইলে পুলিশের সকল কর্মকান্ড সাংবাদিকরা বর্জন করবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিগত দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, গত মাসে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশ স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ঈন্ধনে নির্ভিক সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সারোয়ার আজাদকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৩শ ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ওই সময় দেশের সাংবাদিকদের তোপের মূখে দীর্ঘ ২৭ ঘন্টা শেষে তাকে থানা থেকেই মুক্তি দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখছে বিএমএসএফ ওই ৩৪৫ পিস ইয়াবার মালিক কে? তাহিরপুর থানার ওসি নিজেই নাকি ওখানকার এমপি! প্রশ্ন রাখছি রাজশাহীর নির্ভিক সাংবাদিক বিশাল রহমান ও রাজশাহী প্রেসক্ল¬াব সাধারণ সম্পাদককে কেন নির্যাতন করা হয়েছিল। কেন পুলিশ অকর্থ নির্যাতন করেছিল বরিশালের সাংবাদিক সুমন হাসানকে। কী দোষ ছিল এ সকল সাংবাদিকদের। বিএমএসএফ লক্ষ্য করছে দেশের অতি উৎসাহি জামাত-শিবির ঘরানার কিছু পুলিশ সদস্য সাংবাদিকদেরকে বিনাদোষে নির্যাতন ও হয়রাণী করছে। যাতে দেশের সাংবাদিকরা সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। আমরা গনপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী¿ী,আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রনয়নের দাবি করেন।