অবশেষে শীতের সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে আলুর বাজার বেশ চড়া। শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের হাজী জয়নাল আবেদীন বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক। ফলে কয়েকদিন আগে অস্থির হয়ে ওঠা বাজারে এখন স্বস্তির হাওয়া বইছে।
বাজারে বর্তমানে চার ধরনের শিম পাওয়া যাচ্ছে। ৮০ থেকে শুরু করে ১২০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি শিমের জন্য।
বারোমাসি সবজির মধ্যে করল্লা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। গাজর ১০০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাল কুমড়ার পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে দাম কমে লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে। শালগম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা কেজি।
বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে।
বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম যেমন কমেছে, একই সঙ্গে শীতকালীন সবজির তালিকায় উঠে এসেছে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ। কেজি ৬০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সবজির বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে বাজারে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ডায়মন্ড আলু। কেজি ৮০ টাকা। এতে বিরক্ত সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার সকালে আলুর দাম প্রসঙ্গে কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। মিরাজ হোসেন নামে একজন পরিবহন শ্রমিক বলেন, আমরা তো যাত্রীদের থেকে দুই টাকা ভাড়া বেশি নিতে পারি না। ৮০ টাকায় আলু কেনা লাগে। অনেক কষ্ট হইয়া যাইতেছে।
একই কষ্টের কথা জানালেন নির্মাণ শ্রমিক দিলু মিয়া। বলেন, আমগো ভাই অনেক কষ্টের ট্যাকা। বহুত কষ্ট কইরা ইনকাম করি। গরুর মাংস, খাসির মাংস তো কিনিই না। এখন তো আলুও কিনতে পারি না। ৮০ টাকা কেজি! আমগো মতো মানুষের জন্য ৮০ টাকা অনেক টাকা।