নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। ৮০ টাকা বিনিময় হারে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ হয় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এ লক্ষ্যে সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির আওতায় লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রোজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর শেষে চিমিয়াও ফ্যান বলেন, স্থানীয় সরকারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাংক ২০০৬ সাল থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এলজিএসপি প্রকল্প প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণে ভূমিকা রাখবে। যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে বলে আশা করছি।
কাজী সফিকুল আযম বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে তার ৫৪ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। সাধারণত অন্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে ২ থেকে ৪ শতাংশ সরকারি অংশগ্রহণ থাকে। কিন্তু স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় সরকার এ প্রকল্পে বেশি অর্থায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদে ফরমূলাভিত্তিক থোক বরাদ্দের অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, প্রকল্পের প্রথম তিন বছর সকল ইউপিতে ফরমূলাভিত্তিক মৌলিক থোক বরাদ্দ প্রদান নিশ্চিতকরণ, সুনির্দিষ্ট দক্ষতা সূচকের ভিত্তিতে ইউপিগুলোকে দক্ষতাভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান নিশ্চিতকরণ, ইউপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ব্যবহারের জন্য স্থাপিত ওয়েবভিত্তিক এমআইএস পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সব ইউপিতে অডিট ও দক্ষতা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, সব ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান এবং পাইলট ভিত্তিতে ১৬টি পৌরসভাতে সম্প্রসারিত থোক বরাদ্দ চালু করা।
বিশ্বব্যাংককে ঋণের ছাড়কৃত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। ছাড় না হওয়া অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রতিশ্রুতি ফি প্রদান করতে হয়। তবে বিশ্বব্যাংক কয়েক বছর ধরে প্রতিশ্রুত ফি স্থগিত রেখেছে। এ ঋণের অর্থ ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।