নিউজ ডেস্ক:
বয়স মাত্র ৬ বছর। কিন্তু প্রতিবেশী রোহিত নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর গোসলের সময় প্রতিদিনই অশালীন মন্তব্য করত শিশুটি।
শুধু তাই নয়, বাথরুমে উঁকিও দিত সে। তাই এই অপরাধে শিশুটিকে শেষ পর্যন্ত মেরেই ফেললো রোহিত। সম্প্রতি ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওখলা ফেজ ২ অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, জীবন জ্যোতি নামের ওই শিশু বাবা-মা ও দাদার সঙ্গে থাকত ওই শিশু। বুধবার বাড়ির বাইরে খেলার সময়ে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গেছে, খুন করার পর একটি চাদর শিশুটির মাথায় জড়িয়ে দেহটি বিছানার বাক্সে ভরে রেখে দিয়েছিল রোহিত। এদিন সকালে গন্ধ বের হতেই প্রতিবেশীরা রোহিতের ঘরের ভিতর আসেন। তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন, ইঁদুর মরে পচে গেছে।
কিন্তু বাক্স খুলতেই তার মধ্যে একটি ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। সেই ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। তার মুখ কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল।
প্রতিবেশীরা থানায় খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে রোহিতকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিত জানিয়েছেন, তার নববিবাহিতা স্ত্রীর গোসল করার সময়ে বাথরুমে উঁকি দিচ্ছিল ছেলেটি। সে অশ্লীল মন্তব্যও করে। সেই রাগেই তাকে বাড়িতে ডেকে মারধর করেছিল রোহিত। কিন্তু মারধরের একটি পর্যয়ে শিশুটির মাথা খাটের কোনায় লেগে রক্ত বের হতে শুরু করে। এরপরেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।