চন্দনাইশে মানসিক বিপদগ্রস্ত এক যুবক নিজ স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা করেছে। নিহতের নাম বিউটি আকতার (৩০)। পরে গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে নিজ মাকেও হত্যার চেষ্টা চালায় ওই যুবক। এ ঘটনার ৫ ঘন্টার পর তার মা শামসুন নাহারকে (৯০) জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
উদ্ধারের পর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ছৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত নাসির উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে জমির উদ্দীন চৌধুরী ২ থেকে ৩ মাস আগে থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। এরপর থেকে সে প্রায় সময় টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধর করতো। ঘটনারদিন গতকাল সোমবার হাশিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর হাশিমপুর ছৈয়দাবাদ গ্রামের নিজ বাড়িতে এসে ভাইদের সাথে পারিবারিক ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে তার মা শামসুন নাহার বেগম, স্ত্রী বিউটি আক্তার ও ছেলেকে বাড়িতে জিম্মি করে ফেলে।
ঘটনার সময় তার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারলেও, তার স্ত্রী বিউটি আকতারকে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। পরে তার মা শামসুন নাহার (৯০)কে ধারালো ছুরি গলায় ধরে রুমের মধ্যে জিম্মি করে রাখে। স্থানীয়রা তার মাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেই গলায় ছুরি ধরে রাখে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ থানার পুলিশ, চন্দনাইশে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যরা, ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙ্গে শামসুন নাহারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত চন্দনাইশ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এসময় ঘাতক জমির উদ্দীনকেও আটক করে পুলিশ। নিহত বিউটি আকতার উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, চন্দনাইশের দায়িত্বরত সেনাবাহিনী ও চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা চেষ্টার পর অবরুদ্ধ শামসুন নাহারকে উদ্ধার করতে সম্ভব হয়। পরে জমির উদ্দীনকে আটক করা হয়। নিহত বিউটি আকতারের লাশও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান তিনি।