নিউজ ডেস্ক:
চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পেয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া ৬ রানে হেরে গেছে। যার ফলে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল। তবে অজিদের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা মার্কাস স্টোইনিস তার অসাধারন ব্যাটিংয়ে পুরো ম্যাচের আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন।
স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৮৬ রান। জবাবে ৪৭ ওভারে ২৮০ রানে থেমে যায় অজিদের ইনিংস।
কিউইদের হয়ে ওপেনার গাপটিলের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। তার ৭৩ বলের ইনিংসে ছিল আটটি বাউন্ডারির মার। কিউইদের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে নেইল ব্রুমের ব্যাট থেকে। ৭৫ বল মোকাবেলা করা এই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে ৪টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কার মার আসে। এছাড়া জেমস নিশাম ৪৫ বলে করেন ৪৮ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট নেন মার্কাস স্টোইনিস। দুটি উইকেট পান প্যাট কামিন্স। আর একটি করে উইকেট দখল করেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, জেমস ফকনার এবং ট্রাভিস হেড।
২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে অজিদের টপঅর্ডার ভালো করতে পারেনি। জবাবে শুরু থেকেই কোণঠাসা অস্ট্রেলিয়া। প্রথমসারির ব্যাটসম্যানরা চূড়ান্ত ব্যর্থ। মাত্র ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তারা। একশো রানের গন্ডি পেরোবে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয় ছিল। কিন্তু সেখান থেকেই যেন দুরন্ত লড়াই শুরু হল স্টোইনিসের। জীবনের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেই বিপর্যয়ের মুখে কিছুটা দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলেন। একটু সেট হতেই ব্যাটে উঠল দুরন্ত ঝড়। যে ম্যাচে হার ছিল অবধারিত, সেই ম্যাচকে দুরন্ত লড়াইয়ের জায়গায় এনে দিলেন। অস্ট্রেলিয়া আমল ২৮০ রানে, অর্থাৎ জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে। স্টোইনিস ১১৭ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ১৪৬ রান নিয়ে। তার ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কার মার, ছিল ৯টি বাউন্ডারি। তবে, দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় অজি এই ২৭ বছর বয়সী উঠতি তারকাকে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন মিচেল স্যান্টনার। দুটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং লুকি ফার্গুসন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।