নিউজ ডেস্ক: শাস্তি পেতেই হলো সাকিব আল হাসানকে। অবশ্য আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙায় অবশ্য অল্পতেই রক্ষা পেলেন তিনি। ৪ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে। মোহামেডানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জে তখন ব্যাট করছে আবাহনী। পঞ্চম ওভারে আবাহনীর মুশফিকুর রহিমকে করা সাকিবের বলটা লেগেছিল তার পায়ে। দুই হাত তুলে আবেদন করেন সাকিব। আম্পায়ার ইমরান পারভেজ নাকচ করেন ওই আবেদন। কয়েক সেকেন্ড না যেতেই সাকিব মেজাজ হারিয়ে বসেন। স্টাম্পে লাথি মেরে ভেঙে ফেললেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বললেন আম্পায়ার ইমরান পারভেজের সঙ্গে। এরপর সতীর্থরা এসে সাকিবকে টেনে নেন।
পরের ওভারে আবারও মেজাজ হারান তিনি। পঞ্চম বলের পর বৃষ্টি আসায় খেলা বন্ধ করেন আম্পায়ার। মাঠকর্মীদের দিকে ইশারায় কভার আনতে বলেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। তখন হঠাৎই রেগে যান সাকিব। মুখোমুখি হন আম্পায়ারের, ক্ষিপ্ত ভঙ্গিতে আম্পায়ারকে শাসান তিনি। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাকিবের রাগের চূড়ান্ত রূপ দেখা যায়। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের তিনটি স্টাম্পই উপড়ে ফেলেন তিনি। দেন আছাড়ও। এরপর তিনি ধীরে ধীরে যেতে থাকেন ড্রেসিং রুমের দিকে।
মাঠ ছাড়ার সময় আবাহনীর ড্রেসিং রুমের বাইরে থেকে সাকিবের দিকে কিছু বলতে বলতে এগিয়ে যান আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তখন সাকিবও ছিলেন উত্তেজিত। একজন আরেকজনের দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে যান। মোহামেডানের ক্রিকেটাররা তখন থামান সাকিবকে। মাঠ ছাড়ার শামসুর দৌড়ে আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে গিয়ে থামান সুজনকে!
এমন কাণ্ডের পর অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত আর ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। জানিয়েছেন ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না। তারপরও অবশ্য শাস্তি থেকে রক্ষা পেলেন না। অবশ্য ঢাকা লিগের মাঝপথে জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে ক্ষমা চেয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।
গোটা ক্যারিয়ারেই ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একাধিকবার শৃঙ্খলাভঙ্গের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাকিবের নাম। আবার মাঠের পারফরম্যান্সে তিনিই হয়ে উঠেছেন দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার।