নিউজ ডেস্ক:
সৌদি আরব ও তার মিত্রদের দেওয়া ১৩ শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার। কাতার সৌদি জোটের দেয়া শর্তের জবাবে বলেছে ‘শর্ত অবাস্তব ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়। ‘
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সৌদি মন্ত্রী আদেল আল জোবায়ের কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল সাবেহ’র কাছ থেকে দোহার সরকারি জবাব জেদ্দায় গ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করছে কুয়েত।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর গত ২২ জুন তাদের ১৩টি দাবি মেনে নেয়ার জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। গেলো রবিবার তাদের পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়। সোমবার তা আরো ৪৮ ঘন্টা বাড়ানো হয়।
সৌদি জোটের দাবিগুলোর মধ্যে দোহাকে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার, সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস ও আমিরাতে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ অন্যতম।
সৌদি আরব, মিশর, ইউএই এবং বাহরাইনের অভিযোগ, কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ কট্টর ইসলামপন্থী একাধিক সংগঠনকে মদদ দেয়। আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলও এই কট্টরপন্থীদের সহযোগিতা করে। এ ছাড়া আঞ্চলিক শত্রু হিসেবে পরিচিত ইরানের সঙ্গেও দোহার সুসম্পর্ক আছে। যদিও কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কাতারের জবাব গ্রহণের পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটে বলা হয়, ‘যথাসময়ে কাতারের জবাব পাওয়া গেছে। ’ সৌদি ৪ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বুধবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারনে বৈঠকে বসবেন।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন, ‘দাবিসমুহ অবাস্তব ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এসব দাবি সন্ত্রাসবাদ বন্ধের জন্য বলা হচ্ছে না। এটা বাক স্বাধীনতা হরণের জন্য করা হচ্ছে। ‘
সৌদি ও তার জোট সদস্যরা কাতারের সাথে বিমান, সমুদ্রসীমা ও স্থল পথের সকল যোগাযোগ বিছিন্ন করেছে। কাতারের নাগরিকদের জোটভুক্ত দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। কাতারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সূত্র: এএফপি