নিউজ ডেস্ক:
মেয়েরা কথা শোনে না। রাতবিরেতে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তাই সম্মান রক্ষার জন্য দুই কিশোরী মেয়েকে খালে ঠেলে ফেলে দিল বাবা-মা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানায়। দুই মেয়ে প্রীতি (১৬) ও জ্যোতিকে (১৫) স্থানীয় সিধওয়ান খালে ঠেলে ফেলে দেয় বাবা উদয় চন্দ ও মা লক্ষ্মী। ঘটনায় প্রীতি প্রাণে বেঁচে গেলেও মৃত্যু হয়েছে জ্যোতির।
পুলিশের জেরার মুখে পুরো ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লক্ষ্মী। তার কথায়, দুই বছর ধরেই মেয়েরা উশৃঙ্ঘল হয়ে গিয়েছিল। তাও রগচটা উদয়কে তেমন কিছু জানতে দেয়নি সে। কিন্তু সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন এই ভেবে যে মেয়েরা জেগে পড়াশোনা করছে, এক প্রতিবেশী এসে খবর দেয় যে, জ্যোতি-প্রীতি পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। ভোররাত তিনটে নাগাদ যখন দুই বোন ফিরে আসে। প্রচুর বকাবকি ও মারধর করা হয় তাদের। প্রশ্ন করা হয় কোথায় গিয়েছিল তারা। কিন্তু কেউ সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তখনই উদয় তাদের খালের পানিতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় সত্যি নিজের মেয়েদের হাত-পা বেঁধে খালে ফেলে দেয় উদয়-লক্ষ্মী। তার আগে দুই মেয়েকে দিয়ে সুইসাইড নোটও লিখিয়ে নেয়। হাসপাতাল থেকে জবানবন্দি দেওয়া প্রীতির কথায়, খালে ফেলার আগে মাদকও খাওয়ানো হয়েছিল তাদের।
সকালের পথচারীরা দুই বোনকে পানি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই জ্যোতির মৃত্যু হয়। প্রাণে বেঁচে যায় প্রীতি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক উদয় চন্দ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে জলন্ধরের নারী নিকেতনে ঠাঁই হয়েছে প্রীতির।