নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি দোতলা বাড়ি ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দীর্ঘ ১৯ ঘণ্টার অভিযানের সমাপ্তি ঘটেছে। ‘অপারেশন অ্যাসল্ট-১৬’ নামের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ ৪ জঙ্গির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দু’জন আত্মঘাতী। তারা গ্রেনেড বিস্ফোরণে আত্মঘাতী হন। তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি সফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে, তিন জঙ্গি নিহতের খবর সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আব্দুল মান্নান। এছাড়াও অভিযানে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে পুলিশের সোয়াত টিমের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাতভর কয়েক দফায় গোলাগুলির পর সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় ৭/৮ মিনিট ধরে গুলির পাশাপাশি ৭/৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। একের পর এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা।
সীতাকুণ্ড শহরের প্রেমতলা ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার ‘ছায়ানীড়’ নামের একটি দোতলা বাড়িতে এই অভিযানে স্থানীয় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা
এর আগে, বুধবার বিকালে সীতাকুণ্ড পৌর শহরে ‘জেএমবির জঙ্গিদের’ একটি আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ জসিম ও আর্জিনা নামের এক দম্পতিকে গ্রেফতারের পর ওই বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে গ্রেনেড হামলায় সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক আহত আহত হওয়ার পর থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখেন পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা। পরে রাতভর কয়েক দফায় জঙ্গিদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গোলগুলির ঘটনা ঘটে।