বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী নিয়োগের পূর্বেই শীর্ষ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে লেনদেনের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী নিয়েগে প্রার্থীদের নিকট থেকে ইন্টারভিউ এর আগেই লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রত্যেক প্রার্থীকে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে ৫/৬ লক্ষ টাকা করে অগ্রিম নেওয়ার বিষয়টি এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। এতে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে দলের অনেক নেতাই স্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ্যপ্রহরী পদে চাকুরীর জন্য ৫২২ জন প্রার্থী আবেদন করেছে। অর্থ্যাৎ প্রতি পদের জন্য ৭জন করে প্রার্থী প্রতিদন্দিতা করছেন। আগামী ১১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ইন্টারভিউ কার্ড প্রেরণ করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ মহল থেকে প্রত্যেক ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদককে প্রার্থী যাচাই বাছাই এ সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে। এই সুযোগে ইউনিয়ন পর্যায়ে শীর্ষ নেতারা প্রার্থীদের চাকুরী দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের অর্থ দাবী করছেন। কোথাও কোথাও দাবীমত অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিন্নদলের মতাবলম্বীদের আতœীয়তার সূত্র ধরে মোটা অংকের অর্থ মিটিয়ে নিজ দলীয় সনদপত্র দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ক্ষেত্রে সয়দাবাদ, বাগবাটি, শিয়ালকোল, কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের এগিয়ে রয়েছে। এতে করে অনেক ত্যাগী নেতার সন্তানরা যাদের অর্থ নেই তারা হন্নে হয়ে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। কিন্তু কোন কিনারা পাচ্ছেন না। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালেক জানান, তিনিও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রার্থীদের নিকট থেকে দলীয় শীর্ষ নেতাদের কথা বলে অর্থ নেওয়ার কথা শুনেছেন। অনেক দরিদ্র প্রার্থী টাকা দিতে না পেরে অফিসে এসে ঘোরঘুরি করছে। এব্যাপারে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সাত্তার সিকদার জানান বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে টাকা লেনদেনের অভিযোগ পেয়েছেন। ইউনিয়নগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে হুসিয়ার করে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, এমপি মহোদয়ের  সরাসরি নিদের্শ রয়েছে চাকুরী দেওয়ার আশ্বস দিয়ে কোন টাকা নিবেন না। কিন্তু তার পরও যদি কেউ এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা তুলে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular