নিউজ ডেস্ক:
সিনেমা হলের আলো-আঁধারি পরিবেশে কাঠের ছোট ছোট খোপ। সেখানেই যত কুকর্ম।
ভারতের শহরতলির কিছু কিছু সিনেমা হলে এ ধরনের আসন ‘বক্স’ নামে পরিচিত। যেখানে সিনেমা দেখার নামে অলিখিতভাবে চলে দেহব্যবসা। এমনই অভিযোগে তুলকুলাম কাণ্ড কাটোয়ার দাঁইহাটে। স্থানীয়দের বিক্ষোভের ভয়ে হল থেকে বেরিয়ে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন কয়েক জোড়া যুবক-যুবতী। তবে সামাজিক সম্মানের খাতিরে তাঁদের ছেড়ে দেন এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভে দাঁইহাটের ওই হলে শো বন্ধ হয়ে যায়।
সিনেমা শুরু হয় সকাল ১১টা থেকে। অথচ তার প্রায় তিন ঘণ্টা আগে থেকেই হলে চলে আসে বহু যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। দাঁইহাটের পাইকপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ এনিয়ে হল মালিককে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। সকাল সাড়ে আটটা থেকে অনেকেই টিকিট কেটে হলে ঢুকে পড়ে। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়। এই খবরে হলের সামনে লোকজন জুটতে থাকে। শো টাইম ১১টা হলেও তার কিছু আগেই শো শুরু হয়ে যায়। তখন স্থানীয়রা হলকর্মীদের চেপে ধরেন। এই নিয়ে দুপক্ষের বচসা বাধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে বক্স ভাড়া দিয়ে ওই হলে দেহ ব্যবসা চলে আসছে। এলাকার বাসিন্দাদের মারমুখী মেজাজ দেখে হল থেকে বেরিয়ে আসেন অভিযুক্তরা। তাঁরা পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকার লোকজন কয়েকজনকে ধরে ফেলে। চক্ষুলজ্জার ভয়ে যুবক-যুবতীদের তারা ছেড়ে দেয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, কাটোয়ার পাশাপাশি নবদ্বীপ, কালনা, সালার থেকে যুবক-যুবতী এবং নাবালিকারাও ওই হলে আসে।
তবে হল মালিকের দাবি দেহব্যবসার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিনেমা হলে নিয়ম মেনে বক্স রয়েছে। কোন রকম অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না।
ভারতের কাটোয়া থানার ওসি সঞ্জীব ঘোষ জানান, এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে হলের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।