নিউজ ডেস্ক:
সাভারের শীর্ষ সন্ত্রাসী আলামিনকে (৩৬) অস্ত্র,গুলি ও মাদকসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় তার সাথে থাকা আরও ৮ সহযোগীকে আটক এবং তাদের ব্যবহৃত একটি সাদা রংয়ের হায়েস মাইক্রো জব্দ করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ছয় রাউন্ড গুলি, ১৮’শ পিচ ইয়াবা, ১১টি মোবাইল, নগদ বিশ হাজার আট’শ ২৩ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়াবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৪ নবীনগর ক্যাম্পের সদস্যরা।
শীর্ষ সন্ত্রাসী আলামিন বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর ভবানীপুর এলাকার আব্দুল আলীম ওরফে ভোলা মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৪ এর নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম বলেন সাভারের ভবানীপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও প্রায় ২৩ টি মামলার আসামী আলামিন দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলো। মঙ্গলবার ভোর রাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলামিন একটি গাড়িতে করে সাভার থেকে নবীনগর যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়াবাড়ি এলাকায় তল্লাশী চৌকি বসানো হয়।
এসময় একটি সাদা রংয়ের হায়েস মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী আল আমিনসহ তার ৮ সহযোগীকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ছয় রাউন্ড গুলি, ১৮’শ পিচ ইয়াবা, ১১টি মোবাইল, নগদ বিশ হাজার আট’শ ১৪ টাকা ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। পরে তাদেরকে সাভার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এক মাস আগে সাভারের ভবানীপুর গ্রামে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলামিনকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। এসময় আল আমিনকে আটক করা হলেও হাত কড়া অবস্থায় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায় আলামিন। পরে সেখানে পুলিশের গুলিতে ইসমাইল নামে আলামিনের এক সহযোগী মারা যায়। ঘটনার পর থেকে আল আমিনের বাড়িতে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। তখন থেকেই পলাতক ছিলো আলামিন।