নিউজ ডেস্ক:
র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. জাহাঙ্গীর হোসেইন মাতুব্বর বলেছেন, বিল্লালকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তিনি এই মামলা ছাড়াও সাফাত আহমেদের বিভিন্ন অপকর্মের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলতে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিল্লালকে নবাবপুরের দ্য নিউ ঢাকা বোডিং হোটেলের ৫ নম্বর কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০।
জাহাঙ্গীর হোসেইন মাতুব্বর বলেন, বিল্লাল সাফাতের গাড়ি চালক হিসেবে চার বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি সাফাতকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। আমরা সময়ের অভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। রাতেই তাকে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সাফাত সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, অনেক বিষয় আছে যা এখনো আমরা তার কাছ থেকে জানতে পারিনি। বিশেষ করে ভিকটিমদের সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার লক্ষে আরো তথ্য জানা দরকার। ওই রাতে কী ঘটেছিল তা আমাদের বলেছে বিল্লাল। তার তথ্যগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- ওই রাতে পরিকল্পিতভাবে ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ বনানীর ওই হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই দুই তরুণীকে। সেখানে অস্ত্রের মুখে তাদের হোটেল কক্ষে আটকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। তারা হলেন সাদমান সাকিফ, সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী রহমত আলী; যিনি মামলায় অজ্ঞাত। মামলা পর সিলেট থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে সাফাত ও সাকিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় নবাবপুর থেকে বিল্লাল ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান থেকে রহমত আলীকে গ্রেপ্তার করে।