সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা এলাকায় পরিবহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে সুনীল কুমার মণ্ডল (৪৫) নামে একজন শ্রমিক নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে সদর উপজেলার পাওয়ার গ্রিড সাব-স্টেশনের সামনে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক সুনীল কুমার মণ্ডল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত উপেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে।
আহতরা হলেন- বিনেরপোতা গ্রামে তারাপদ মণ্ডলের ছেলে মনোহর মণ্ডল (৪২), একই গ্রামের স্বপন শীলের ছেলে উত্তম কুমার শীল (৩৫), মৃত রবীন্দ্র দেবনাথের ছেলে বাবু দেবনাথ (৩৮), হরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে সুরঞ্জন বিশ্বাস (৩৪), রবীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে প্রহল্লাদ মল্লিক (৪০), ফজলুর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও প্রশান্ত মণ্ডলের ছেলে বিরিঞ্চি মণ্ডল (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ইউপি মেম্বার বিশ্বনাথ জানান, সুনীল মণ্ডলসহ তারা ৮ জন একটি ইঞ্জিন ভ্যানে চড়ে সাতক্ষীরার দিকে ঘেরে মাছ ধরতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভোর ৬টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড সাব স্টেশনের সামনে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে আসা একটি পরিবহন তাদের ইঞ্জিন ভ্যানটিকে সজরে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় পড়ে গিয়ে গাড়ি চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সুনীল মণ্ডল। আহত হয় তার সাথে থাকা অপর ৭ জন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে সুরঞ্জন বিশ্বাস ও উত্তম শীলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর কুমার জানান, শহরের ঋশিল্পি ফাউন্ডেশন এর সন্নিকটে অবস্থিত পল্লী বিদ্যুতের পাওয়ার গ্রিড সাব-স্টেশনে বালি ভরাট করার জন্য দীর্ঘ দিন সড়কের উপরে বালির ¯স্তূপ করে রাখা হয়েছে। ফলে চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।