নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামানকে দুর্নীতির দায়ে বদলি করা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নীতিমালা বহির্ভূত ছাত্র ভর্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক তাঁর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে (যার স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.১০৬.২৭.০০১.১৬.১৫১০) রোববারের (১৩ অক্টোবর) মধ্যে বিমক্ত হবেন বলে নির্দেশ প্রদান করেন। তবে প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান গতকাল পর্যন্তও দায়িত্ব হস্তান্তর না করে অফিস করেছেন বলে তিনি নিজেই জানান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) আমিনুল ইসলাম টুকু খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা পরিচালকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সরকারি বালক বিদ্যালয়ে টাকার-বিনিময়ে নীতিমালা বহির্ভূত ছাত্র ভর্তি করেন প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান। এ বিষয়ে কয়েকজন ছাত্রের অভিভাবক লিখিত অভিযোগ করলে সরেজমিন তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তদন্ত প্রতিবেদন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠালে সেখান থেকে মিজানুজ্জামানকে গত ১০ অক্টোবর শাস্তিমূলক বদলি করে মেহেরপুর পাঠানো হয়। অভিযোগ উঠেছে, এ সংক্রান্ত ফাইল খুলনা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অফিসে পাঠালে অর্থের-বিনিময়ে পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান ধামাচাপা দেন। পরে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে এ বদলির আদেশ কার্যকর হয়।