মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবজাতির সর্বোত্তম আদর্শ, আখেরি নবী ও সর্বশেষ রাসুল।
‘বালাগাল উলা বি কামা-লি হি, কাশাফাদ দুজা বি জামা-লি হি; হাছুনাত জামিউ খিছ-লি হি, ছল্লু আলাইহি ওয়া আ-লি হি’ (সবার ওপরে আসন যাঁর; তাঁর রূপের ঝলকে কেটেছে আঁধার, সকল কিছুই সুন্দর তাঁর; দরুদ তাঁকে ও তাঁর পরিবার)।
কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত।’ (সুরা-৬৮ কলম, আয়াত: ৪)।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ করো; ফলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন, তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৩১)।’
মানবীয় অবয়বে আল্লাহর গুণাবলির সর্বোচ্চ সমাহার ঘটেছিল মহানবী (সা.)-এর মধ্যে। তাঁর জীবন ছিল জীবন্ত কোরআন। তাঁর শুভাগমনে ইসলামের পরিপূর্ণতা ঘটেছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর রং! আর আল্লাহর রং অপেক্ষা অধিকতর সুন্দর রং কী হতে পারে? আমরা তাঁরই ইবাদতকারী অনুগত বান্দা।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৩৮)।
কোরআনের ভাষায়, ‘তিনি তাঁহার রাসুলকে পথনির্দেশ ও সত্য ধর্মসহ প্রেরণ করেছেন অপর সকল ধর্মের ওপর উহাকে জয়যুক্ত করার জন্য। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।’ (সুরা-৪৮ ফাতহ, আয়াত: ২৮)।
‘অবশ্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের নিকট এক রাসুল এসেছেন, তোমাদিগকে যা বিপন্ন করে, তা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক, তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী। তিনি মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও দয়ালু। অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনি বলুন, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ বা উপাস্য তথা ইবাদতের উপযুক্ত মাবুদ নেই। আমি তাঁরই ওপর নির্ভর করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ১২৮-১২৯)।’
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মন্দের প্রতিবাদ করো উত্তম দ্বারা, তারা যা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৯৬)।’ ‘ভালো ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা, ফলে তোমার সহিত যার শত্রুতা রয়েছে, সে-ও তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো হয়ে যাবে (সুরা-৪১ ফুচ্ছিলাত, আয়াত: ৩৪)।’
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে (আদর করে) বলেছেন, “হে আমার প্রিয় সন্তান! যদি তুমি পারো তবে সকাল-সন্ধ্যা রাত-দিন এভাবে অতিবাহিত করো যেন তোমার অন্তরে কারও জন্য কোনো (গিশ্শ) হিংসা-বিদ্বেষ না থাকে, তবে তা-ই করো।”
তিনি আরো বলেন, ‘এটা আমার অন্যতম সুন্নাত আদর্শ। আর যারা আমার সুন্নাত আদর্শকে (আমলের মাধ্যমে) ভালোবাসবে, তারা প্রকৃত আমাকেই ভালোবাসে; আর যারা আমাকে ভালোবাসে তারা আমার সঙ্গেই জান্নাতে থাকবে।’ (তিরমিজি: ২৭২৬)।’