নিজস্ব প্রতিবেদক :
চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে বিআরএম প্রাইভেট হাসপাতালে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের পর শিশুকন্যার মৃত্যুর। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে অপারেশন থিয়েটার ছেড়ে পালিয়ে গেছেন চিকিৎসক। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী নেয়ার পথে কুষ্টিয়ায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়নের আসানান্দপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার চাঁন মনি (০৮) গতকাল সকালে অ্যাপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করার জন্য সরোজগঞ্জ বাজারের বিআরএম হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ডা. খন্দকার গোলাম মোস্তফা কবীর অপারেশন করতে গিয়ে চাঁনমনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। পথিমধ্যে কুষ্টিয়াতে পৌঁছালে চাঁন মনি মারা যায়।
এ বিষয়ে চান মনির খালু মাহাবুব রহমান বলেন, গত সোমবার চাঁন মনিকে বিআরএম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তার সকল চেকআপ করা হয়। পরদিন গতকাল সকাল ৯ টার দিকে ডা. খন্দকার গোলাম মোস্তফা কবীর অপারেশন থিয়েটারে নেয়। অপারেশন থিয়েটারে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। তখন বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে খোঁজখবর নেয়া শুরু করি।
এসময় রোগি চিৎকার শুরু করে। তখন ডা. কবীর ধামকি মেরে রোগিকে সাবধান করতে যায়। রোগির অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলে। তখন রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল ছেড়ে পালায় চিকিৎসক।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন আহমেদ জানান, মেয়েটির ঠান্ডাজনিত সমস্যা ছিল। স্যালাইন দেওয়ার পরে রোগির অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন আমরা রোগিকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। এ ঘটনার পর থেকে ওই ক্লিনিকটি তালা মেরে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে চাঁদ মনির লাশ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে