নিউজ ডেস্ক:
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার কোনো ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে কোনো আইন প্রণয়ন করে না। সরকার দেশের কল্যাণের জন্য আইন প্রণয়ন করে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকাস্থ দেবীদ্বার উপজেলা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন মন্ত্রী। ঢাকাস্থ দেবীদ্বার উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ বি এম গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাবেক অর্থ উপমন্ত্রী এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের, সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আবু বাশার ভূঁইয়া ও অধ্যক্ষ মনজুরুল আলম বক্তৃতা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব সময়ই গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করে এবং নেতিবাচক সমালোচনা পরিহার করে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি কেন, যেকোনো দল নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করলে তা গ্রহণ করতে সরকার দ্বিধাবোধ করবে না।
শুক্রবার নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশানের একটি মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন, ২০১৬ খসড়া নিয়ে ‘নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি-সমর্থক শিক্ষাবিদ, আইনজীবীসহ পেশাজীবীরা অংশ নেন। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট পরিবার ও কিছু ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্যই সরকার ‘নাগরিকত্ব আইন, ২০১৬ খসড়া’ প্রণয়ন করছে।
এ আইনের উদ্দেশ্য কী? এমন প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের (শাসক দল) ক্ষমতাকে আরও বেশি সংহত করা, শাসকগোষ্ঠীর নিরাপত্তা প্রদান করা। অনেকে আলোচনা করেছেন, কেন একটি নির্দিষ্ট পরিবার বা কিছু ব্যক্তি বা শাসকগোষ্ঠীর কিছু মানুষকে শুধু প্রটেকশন (সুরক্ষা) দেওয়ার জন্যই এই আইন করা হচ্ছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রবাসীদের সঙ্গে একটি গোলটেবিল বৈঠক করা হবে। ওই বৈঠকে তাঁদের বক্তব্য শুনে নাগরিকত্ব আইনের যেসব ধারা পরিবর্তন করা যুক্তিসংগত মনে হবে, সেই সব ধারা নিশ্চয়ই পরিবর্তন করা হবে।