নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলা থেকে ৫৫ জন জয়িতাকে সার্বিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আবার পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা দেওয়া হয়।
গতকাল বুধবার নগরীর ষোলশহর এলজিইডি ভবনের কনফারেন্স হলে আয়োজিত জয়িতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেওয়া হয়।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আকতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী, সাংসদ ওয়াশেকা আয়েশা খান, সাবেক সাংসদ হাসিনা মান্নান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।
প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, দেশে বর্তমানে পোশাক কারখানায় ৪০ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছেন। এটি সুখের খবর। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নারীরা থাকতে পারলে আমরা শ্রমিক দিয়ে তুষ্ট হবো কেনো? আমরা ৪০ লাখ শ্রমিক চাই না, ৪০০ নারী গার্মেন্টস মালিক চাই।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘নারীদের কল্যাণে ইতোমধ্যে ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে নারীদের ১৮ রকমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে মোবাইল সার্ভিসিং সবকিছুর প্রশিক্ষণ নেবেন তারা। এখন থেকে মোবাইল ঠিক করতে নারীদের কাছে পুরুষরা আসবে। সব মিলিয়ে ২ কোটি নারীর হাতকে আমরা কাজে লাগিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, নারীরা এগিয়ে যাওয়া মানে পুরুষরা পিছিয়ে পড়া নয়। আমরা পুরুষদের হাত ধরে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সমতা চাই। আর নারীরা এগিয়ে গেলে পুরুষদের অনেক সমস্যারও সমাধান হবে।