নিউজ ডেস্ক:
আকাশপথ, স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও শুরু হয়েছে হজ যাত্রীদের আগমন। আর দীর্ঘদিন ধরেই জেদ্দা সমুদ্র বন্দরটি হজযাত্রীদের কাছে অনেক প্রাচীনতম বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এখনও চালু রয়েছে এই নৌবন্দরটি। যদিও বিমানের স্বল্প সময়ের ভ্রমণের ফলে নৌপথে হাজিদের যাতায়াত ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। তবে হাজার হাজার হজযাত্রী এখনো নৌপথ ব্যবহার করছেন। আর সুদান হজের জন্য প্রতিবছরই জেদ্দা নৌবন্দর ব্যবহার করে থাকে।
আর এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ আগস্ট (শুক্রবার) সুদান থেকে ৪৮০ জন হজযাত্রী নিয়ে নৌপথে প্রথম জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ জেদ্দা (ইসলামিক পোর্টে) নৌবন্দরে পৌছেছে।
জেদ্দার বাদশাহ আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর হজযাত্রীদের জন্য তৃতীয় বৃহত্তম প্রবেশ পথ হলো জেদ্দার ইসলামিক নৌবন্দর।
সুদান থেকে ৪৮০ হজযাত্রী বহনকারী জাহাজ ‘মাওয়াদ্দাহ’ গত শুক্রবার জেদ্দায় পৌঁছালে হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মারওয়ান সুলেইমানি এবং সুদানের রাষ্ট্রদূত আওয়াদ হুসেইন জারুক হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।
জেদ্দা নৌবন্দরের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল জালিলি জানান, ‘এ বছর নৌপথে সুদান থেকে ৩০টি জাহাজের মাধ্যমে ১৮ হাজার হজযাত্রীকে যাতায়াত সুবিধা প্রদান করবে। ’
নৌবন্দরেও হজযাত্রী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মী নিয়োগ করেছে। হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় নৌবন্দরে পাসপোর্ট, বন্দরসেবাসহ অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বঅপক বাহিনী নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যবস্থা রয়েছে।
সুদানের সুকিন নৌবন্দর থেকে এ হজযাত্রীরা জাহাজে করে জেদ্দা নৌবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এক সময় এ সুকিন বন্দরটি পূর্ব আফ্রিকার প্রধান নৌবন্দর ছিল।
উল্লেখ্য যে, যদিও সময়ের পরিক্রমায় এখন বিমানে অল্প সময়ে হাজার মাইল পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব। এক সময় ছিল যখন মানুষকে ১ বছর বা ৬ মাস আগ থেকেই হজের সফর শুরু করতে হয়েছিল। যা এখন অতীত।