সমুদ্রের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

0
2

সারাবিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখন দৃশ্যমান। মনুষ্যসৃষ্ট বহু কারণে পৃথিবীর জলবায়ু ক্রমশই বিরূপ হয়ে উঠছে। এর প্রভাব জলেও পড়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দৈত্যকার তিমিও তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি হাম্পব্যাক তিমির দীর্ঘতম ও অস্বাভাবিক মাত্রার অভিবাসনের তথ্য রেকর্ড করেছেন বলে জানা গেছে। সমুদ্রের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ার কারণেই তিমিসহ অনেক প্রাণী তাদের আবাসস্থল পরিবর্তন করছে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা যে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের তথ্য পেয়ে চমকে গেছেন, সেটি ২০১৭ সালে কলম্বিয়ার কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা গিয়েছিলো। সেই একই তিমি ২০২২ সালে ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবারের কাছে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রথমবার দেখার পরে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে দেখা মিলেছে সেই হাম্পব্যাক তিমি।

এরপর বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই অভিযাত্রার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ রয়েছে। সম্ভবত খাদ্য কমে যাওয়ার কারণে বা নতুন সঙ্গী খুঁজে পেতে এমন দূরত্ব অতিক্রম করেছে তিমিটি।
এদিকে হাম্পব্যাক তিমির আবাসস্থল পরিবর্তনের বিষয়ে তানজানিয়ার বিজ্ঞানী একাটেরিনা কালাশনিকভ বলেন, ঘটনাটি চিত্তাকর্ষক। এমন অস্বাভাবিক পরিবর্তন পরিযায়ী প্রজাতির প্রাণীর মধ্যেও দেখা যায় না। এটি সম্ভবত সবচেয়ে দীর্ঘতম দূরত্ব অতিক্রম করা হাম্পব্যাক তিমি।

উল্লেখ্য, প্রায় সব মহাসাগরেই দেখা যায় হাম্পব্যাক তিমি। প্রতিবছর দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ করে তারা। যেকোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর দীর্ঘতম ভ্রমণ ও স্থানান্তরের জন্য এমন তিমি যেমন আলোচিত তেমনি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রজননস্থল থেকে শীতল সমুদ্রে খাবারের খোঁজে এসব তিমি ভ্রমণ বেশি করে থাকে।