নিউজ ডেস্ক:
মাঝে এক সপ্তাহ বিরতি শেষে আবারও শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। গত সোমবার উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ৬৫০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুর অনুপ্রবেশের পর স্থল কিংবা নৌ-সীমান্ত দিয়ে আর কোনো রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেনি।
কিন্তু গতকাল টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের হারিয়াখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাছধরার তিনটি ট্রলারে করে ২০০ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের টেকনাফের সাবরাং সেনা ত্রাণক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। টেকনাফ থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে সাগরে মাছধরা তিনটি ছোট ট্রলারে করে মোট ২০০ রোহিঙ্গা এপারে এসেছে। এর আগে গত সপ্তাহে ভেলায় চড়ে কয়েক দফায় শাহপরীর দ্বীপ হয়ে অন্তত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে। গত কয়েক দিন ধরে উত্তর বায়ুর প্রভাবে সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগর ও নাফ নদ উত্তাল রয়েছে। তাই ভেলায় চড়ে এখন আপাতত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ রয়েছে বলে জানান টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন খান। অপর একটি সূত্র জানায়, মিয়ানমারের মংডুর ধংখালী ও নাইক্ষ্যংদিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ভেলা তৈরির জন্য বাঁশ-গাছ জোগাড় করতে মংডুর পাহাড়ে গেলে কয়েক দিন আগে মিয়ানমার সেনারা তাদের বাধা দেয়। এ সময় কয়েকজন রোহিঙ্গা যুবককে আটকে রেখে নির্মম অত্যাচার করে। এতে আতঙ্কে রয়েছে ওপারের সীমান্তে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা। তারা এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। মিয়ানমার সেনারা সরে গেলে পুনরায় ভেলায় করে রোহিঙ্গারা এপারে আসতে শুরু করবে বলে ধারণা করছেন শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা জাকারিয়া আলফাজ।
তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় সাগর ও নদীপথ অনেক শান্ত রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো খরচ ছাড়াই রোহিঙ্গারা সহজে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। নৌকা বা ট্রলারে করে আসতে গেলে অনেক সময় দালালের খপ্পরে পড়তে হয় এবং একেকটি রোহিঙ্গা পরিবারকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা গুনতে হয় নৌকা ভাড়া বাবদ। এদিকে গতকাল আসা রোহিঙ্গাদের প্রাথমিকভাবে মানবিক সহায়তা দিয়ে সাবরাংয়ের সেনা ত্রাণক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যে তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।