নিউজ ডেস্ক:
রাশিয়ার একটি সামরিক পরিবহন বিমান ৯১ জন আরোহী নিয়ে কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কেন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে রাশিয়ার একটি নিরাত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ডেইলি মিরর বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
রাশিয়ার অবকাশ কেন্দ্র সোচি থেকে স্থানীয় সময় সকাল ০৫:২০ মিনিটে উড্ডয়নের ২০ মিনিট পরেই উড়োজাহাজটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
বিমানটিতে সেনাসদস্য, প্রখ্যাত আলেক্সান্দ্রভ সামরিক সঙ্গীত দল এবং সাংবাদিকরা ছিল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি ছিল একটি টু-১৫৪ পরিবহন বিমান।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে খবরটি নিশ্চিত করে জানায়, ৯১ জন মানুষ ঐ বিমানটিতে অবস্থান করছিল। বিমানটি সিরিয়ার লাটাকিয়া প্রদেশের দিকে যাত্রা করছিল।
মস্কো থেকে যাত্রা শুরু করে বিমানটি জ্বালানী নেয়ার জন্য সোচিতে অবতরন করেছিল।
ঐএলাকা থেকে পাওয়া খরে জানা যাচ্ছে,আকাশের অবস্থা তখন বিমান উড্ডয়নের উপযোগী ছিল।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থাগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলছে, উড়োজাহাজটিতে ৮৩ জন যাত্রী এবং ৮ জন ক্রু ছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমানের যাত্রীরা সিরিয়ায় কর্মরত রুশ সেনাদের জন্য একটি নববর্ষের অনুষ্ঠান করার জন্য সেখানে যাচ্ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন এক প্রতিবেদনে বলছে, বিমানটি বিধ্বস্তের কিছুক্ষণের মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি বৈঠক করেছে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিমান হামলার পেছনে ‘সন্ত্রাসী’রা জড়িত কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কমিটির চেয়ারম্যান ভিক্টর ওজারভ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ বিমানটি রাশিয়ার সেনাবাহিনী পরিচালনা করছিল।