নিউজ ডেস্ক:
গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত শ্রীলংকার তামিলরা বিবদমান দুই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার লড়াইয়ে কিং-মেকার হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। তবে এই দুই প্রধানমন্ত্রীর কারো প্রতি তারা আস্থাশীল নয়।
প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে সাবেক লৌহমানব প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু বিক্রমাসিংহে তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই অবস্থান করছেন। এই দুই বিবদমান প্রধানমন্ত্রী এখন পার্লামেন্টের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছেন।
শ্রীলংকার ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তামিলদের রয়েছে ১৬ আসন। এদিকে বিবদমান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিক্রমাসিংহের দলের ১০৪ এবং রাজাপাকসে ও তার মিত্রদের আসন সংখ্যা হচ্ছে ৯৯। অবশ্য ইতোমধ্যে দুই পক্ষেরই দল বদলের ঘটনা ঘটছে।
এ পরিস্থিতিতে তামিলদের ১৬ আসন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিয়ামকের ভূমিকা পালনকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
উভয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তামিলদের অবিশ্বাস ও অনাস্থার কারণ হচ্ছে এক দশক আগে রাজাপাকসে তামিল টাইগার ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে পূর্ণ সামরিক শক্তি ব্যবহার করে তাদেরকে সম্পূর্ণ পরাস্ত ও বিপর্যস্ত করে দেয়। অপরদিকে তামিল জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও উন্নয়নে সৈথিল্যের কারণে তারা বিক্রমাসিংহের উপরও বিক্ষুব্ধ।
এ প্রসঙ্গে তামিল ন্যাশনাল এ্যালায়েন্সের (টিএনএ) পার্লামেন্ট সদস্য ধর্মালিগুম সিথাদথান এএফপিকে বলেন, আমরা উভয় সংকটে আছি। কারণ তারা দু’জনই সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলী সম্প্রদায়ের সদস্য।