নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযানে গোটা দেশ থেকে সাড়া মিলেছে। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই দেশকে পরিচ্ছন্ন করতে নিজেদের মতো করে এগিয়ে এসেছেন। এমনকি সম্প্রতি বিয়ের কার্ডেও স্বচ্ছ ভারতের লোগো ছাপানোর ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছিল। এবার আরেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মহারাষ্ট্রের কিশোর বিভূতি।
নাসিকের হিভারে গ্রামের সেবক হিসেবে পরিচিত তিনি। পণ করেছিলেন, গ্রামের যে ক’টি পরিবারের মানুষ খোলা স্থানে শৌচকর্ম করেন, তা বন্ধ না করে কিছুতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না। কথায় বলে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। নিজের প্রতিজ্ঞা পালন করেছেন তিনি। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির শৌচাগার তৈরি হওয়ার পর শুক্রবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তিনি।
বিয়ের দিনটা সকলের কাছেই নিঃসন্দেহে স্পেশাল হয়। কিন্তু কিশোরের কাছে তাঁর বিয়েটা চিরস্মরণীয় হয়ে রইল বলে জানিয়েছেন তিনি। একটা বড় স্বপ্নপূরণ করে বিয়ে করলেন। লাটুর জেলার সংগাম গ্রামের পাত্রীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ২৬ বছরের কিশোর। জেলার তথ্য কর্মকর্তা কিরণ মোঘে জানান, মোদির স্বচ্ছ ভারত অভিযান থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই গ্রামকে পরিচ্ছন্ন করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কিশোর। প্রতিটি গ্রামবাসীকে বাড়িতে শৌচাগার বানানোর আর্জি জানান। খোলা স্থানে শৌচকর্ম করতে নিষেধ করেন।
বছর তিনেক আগে গ্রামের ৩৫১টি বাড়ির মধ্যে ১৭৪টিতে শৌচালয় ছিল। ২০১৪ সালে নাসিক জেলা পরিষদের সিইও-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন গ্রাম সেবক কিশোর। তখনই শপথ নিয়েছিলেন, বাকি ১৭৭টি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির পরই বিয়ে করবেন। গত বছর নিজের লক্ষ্যপূরণে সফল হন তিন। ৷ মোঘে জানান, নাসিক জেলা প্রশাসনের তরফে একটি দল গত বৃহস্পতিবার হিভারে গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিল। পর্ববেক্ষকরাই নিশ্চিত করেন, বর্তমানে ওই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন