নিউজ ডেস্ক:
বেডরুমে ড্রেসিং টেবিল কিংবা আয়না নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আয়না আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু। প্রতিদিনই ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আয়নায় নিজেকে একনজর দেখে বের হন কমবেশি সবাই। বাস্তুশাস্ত্র মতে, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় এ জিনিসটির ভালো মন্দ উভয় দিকই রয়েছে।
দাম্পত্য জীবনে সচেতনতার অভাবে অনেক সময় অজান্তেই ঘটে যায় অনেক অঘটন৷ কিন্তু কিছু বাস্তু টিপস মানলে সে সমস্যার সমাধান খুব সহজেই হয়ে যায়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তুশাস্ত্রকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বেডরুমের বাস্তুশাস্ত্র সংক্রান্ত কিছু টিপস।
* শোবার ঘরে কখনও রুমের মাঝামাঝি বিছানা রাখবেন না৷ কোনো দেওয়ালের সঙ্গে বিছানার মাথা রাখার দিকটি যুক্ত রাখুন৷ এতে সম্পর্ক ভালো থাকে৷
* শোবার ঘরে এমন স্থানে আয়না রাখবেন না যেখান থেকে স্বামী-স্ত্রীর শুয়ে থাকার প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে৷ বিছানা দেখা যাবে না এমন স্থানে আয়না রাখুন৷ ব্যবহার শেষে আয়না পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখুন।
* বিছানা পারলে কাঠের তৈরি করুন৷ লোহা, স্টিল, অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি বিছানা অহং বাড়িয়ে তোলে৷ যা দাম্পত্য প্রেমে ব্যঘাত ঘটাতে পারে৷
* শোবার ঘরে পূর্বপুরুষ কিংবা কোনো প্রাণীর ছবি না রাখলেই ভালো৷ এতে রোমান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ প্রাকৃতিক কোনো দৃশ্য, ঝরনা, নৈসর্গিক দৃশ্যের পোস্টার বা পেইন্টিংস রাখতে পারেন৷
* বেডরুমের দেয়ালে উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করতে পারেন। লাল, গোলাপি এইসব রঙ রোমান্স বাড়িয়ে তোলে৷ যাদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে, তারা লাল রঙ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
* যৌনজীবন আরো সুন্দর করে তুলতে দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে শোয়ার চেষ্টা করুন৷ পশ্চিম দিকেও মাথা রেখে শুতে পারেন৷ তবে পূর্ব এবং উত্তরের দিকে মাথা করে শুলে কিন্তু রোমান্স তো বাড়বেই না উপরন্তু জীবনে ভোগান্তি আসতে পারে৷
* যদি বিছানার বিপরীতে আয়না থাকে এবং তা যদি সরাতে অসুবিধা থাকে তাহলে শোবার সময় আয়না ঢেকে রাখুন।
* শোবার ঘর সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। দেয়ালে মাকড়সার জাল কিংবা ঝুড়িতে ময়লা জমিয়ে রাখার অভ্যাস বাস্তুশাস্ত্রের দিক থেকে ভালো নয়। এতে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
* বাইরের অতিথিদের পদচারণা ড্রয়িং রুম কিংবা ডাইনিং টেবিল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখুন। কথা বলার জন্যে নিজেদের শোবার ঘরে ডেকে আনবেন না।
* পুরাতন ক্যালেন্ডার, নষ্ট ঘড়ি কিংবা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য শোবার ঘরে দৃশ্যমান না থাকাই ভালো।
লেখক : অ্যাস্ট্রোলজার অ্যান্ড সাইকিক কনসালটেন্ট