ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় স্কেলের আঘাতে ছাত্রীর চোখ নষ্ট হওয়ার অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফোয়ারার বাবা শরিফুল বলেন, গত ১২ আগস্ট স্কুলে থাকার সময় ফোয়ারার স্কেলের কালি ওই শিক্ষকের হাতে লেগে যায়। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে একই স্কেল দিয়ে ফোয়ারার চোখে আঘাত করেন। চোখে রক্তক্ষরণ হলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হলে ঢাকায় নেওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। সেখানে চিকিৎসকরা বলেন, চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে ভারতে নিতে চান, কিন্তু অর্থাভাবে তা পারছেন না বলে জানান শরিফুল।মনতেজার রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির জানান, ছাত্রছাত্রীরা দুষ্টামি করছিল।
এ সময় তাদের শান্ত করতে গিয়ে শিক্ষক মুরাদ হোসেন হাতের স্কেল দিয়ে আঘাত করলে শিক্ষার্থীর ফোয়ারার চোখে আঘাত পায়। তিনি জানান, এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। তিনি নিজেও ফোয়ারার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছেন। শৈলকুপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামিম আহমেদ খান জানান, বিষয়টি কেউ তাকে অফিসিয়াল ভাবে জানাইনি। তবে তিনি লোক মুখে বিষয়টি শুনেছেন। তবে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, দহকোলা গ্রামের মনতেজার রহমান মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার স্কেলের আঘাতে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মারিয়াতুছ ফোয়ারার চোখ নষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে মামলা করার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। শৈলকুপা থানার ওসি আরো জানান, ফোয়ারার বাবা শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে আটক করা হয়েছে।