জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) উদাসিনতায় ডুবে গেছে পৌর এলাকার ৬ গ্রামের প্রায় এক’শ একর ফসলি জমি। গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষনে পৌর এলাকার সাতগাছি, হাজামপাড়া, শিক্ষকপাড়া, আদর্শপাড়া, বাজারপাড়া ও মালিপাড়াসহ ৬ গ্রামের ফসলি জমিতে এখন থৈ থৈ পানি। ডুবে গেছে বোরো মৌসুমের মাঠভরা পাকা ধান। এলাকার কৃষকরা এ বছর বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। সংস্কারের অভাবে অচল হয়ে পড়া পাউবোর ড্রেনেজ খালটি এখন অত্র এলাকার কৃষকের দু:খ। উপরোন্ত প্রভাবশালীদের দখল দূষণে বন্ধপ্রায় শিক্ষকপাড়া থেকে উপজেলা মোড় হয়ে কুমার নদ পর্যন্ত প্রধান এ ড্রেনেজ খালটি। পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম জানান, দখলদাররা যত প্রভাবশালী হোক পৌরবাসী ও এলাকার কৃষকের স্বার্থে খাল পুন:ধার করে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা তরান্বিত করা হবে। তাছাড়া উক্ত খালটি ভরাট ও দখল করে যারা পানি নিস্কাশনে বাধাগ্রস্থ করছে পাউবো’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে জানা গেছে, শৈলকুপা পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই সাতগাছি, হাজামপাড়া, শিক্ষকপাড়া, আদর্শপাড়া, বাজারপাড়া ও মালিপাড়াসহ ৬ টি গ্রাম এলাকার শত শত কৃষকের আবাদী ফসলের প্রায় ১শ একর আয়তনের মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল। একটু বৃষ্টি হলেই ফসলী মাঠসহ তলিয়ে যায় পাড়া মহল্লার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর এমনকি চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়ে বাজারপাড়া, আদর্শপাড়া, শিক্ষকপাড়ার পুরো এলাকাটি। এসব এলাকার পানি বের হওয়ার পাউবোর প্রধান ড্রেনেজ খালটি শুরু থেকেই যেন অভিভাবকহীন। বর্তমানে ওয়াবদাগেটের সামনে প্রভাবশালী এক ঠিকাদার তার ব্যক্তিগত স্বার্থে নামমাত্র পাইপ দিয়ে অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করায় সবচেয়ে বেশি পানি নামতে বাধাগ্রস্থ হয়। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা গোলচত্বরসহ শিক্ষকপাড়া-আদর্শপাড়ার ভিতর দিয়ে খালের দুই পাশের অনেকেই দখলদারিত্ব করে খালটি ভরাট করে ফেলেছে। সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা দীর্ঘদিন এ খালটি যেন ক্রমেই সরু নালায় পরিনত হচ্ছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি বের না হওয়ায় ডুবে গেছে বহু কৃষকের পাকা বোরোধানসহ আগাম বীজতলা। নষ্ট হয়েছে অত্র এলাকার কাচা-পাকা রাস্তাঘাট, দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। থৈ থৈ পানিতে ভাসছে বোরো চাষীদের সোনালী স্বপ্ন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পাউবোর নির্বাহী কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান সুজন বলেন, শৈলকুপা পৌর এলাকার মধ্যে অবস্থিত জনগুরুত্বপূর্ণ এ ড্রেনেজ খালটি সংস্কারের সর্বাত্বক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখল উচ্ছেদ করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।