শেরপুরে গজনী অবকাশ পিকনিক স্পটে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ধর্ষণের শিকার সেই স্কুলছাত্রীর মা।
মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ভালবাসা দিবসে বন্ধু-বান্ধবীর সাথে বেড়াতে গেলে কালিনগর এলাকার এক বখাটে যুবক ইলিয়াস (২৫) তাকে জোর করে ধর্ষণ করে।
পরে ওই যুবকের প্রভাবশালী পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভিকটিমের পরিবারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে মামলা না করার জন্য। ঘটনাটি জানাজানি হলে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়েটির মা লোক- লজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে জঙ্গলে গিয়ে বিষ পান করেন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠালে তার অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, বিষপান করায় ওই নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওই নারীর স্বামী বুধবার সকালে বলেন, বিষপান করে তাঁর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে আজ ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঝিনাইগাতী সদর ওসি মো. আল-আমীন জানান, আমরা ভিকটিমকে নিরাপদ হেফাজতে এনেছি এবং তার মায়ের চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি নিশ্চিত করেন।