নিউজ ডেস্ক:
বছরের এই একটা সময় ত্বকের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এই সময়টা হলো শীতকাল। আর এই সময় প্রয়োজন একটু অতিরিক্ত যত্ন। তবে তার জন্য পার্লারে গিয়ে টাকা খরচ করার দরকার নেই। বাড়িতে বসেই সহজলভ্য উপকরণে স্কিন ট্রিটমেন্ট যাবে।
বাড়িতে বসে স্টিম বাথ নেওয়াটা কষ্টসাধ্য হলেও স্টিম ফেশিয়ালটা করে ফেলতেই পারেন। একটা পাত্রে গরম পানি নিয়ে ভালো করে মাথা ঢেকে ভাপ নিন ১৫-২০ মিনিট। ভাপ নেওয়া হয়ে গেলে হালকা স্ক্রাব করে নিন। মুখের ময়লা দূর করার সঙ্গে ত্বক মোলায়েমও করবে।
ঊষদুষ্ণ পানি গোসল করার সময় তাতে অল্প পরিমাণে গ্রিন টি এবং পুদিনাপাতা মিশিয়ে নিতে পারেন। শীতের দিনে রিফ্রেশমেন্ট পেতে এটা সাহায্য করে।
শীতে দেহের ত্বকের সঙ্গে মাথার স্ক্যাল্পও শুষ্ক হয়ে যায়। যা থেকে হয়ে থাকে খুসকি। তাই শীতে সপ্তাহে অন্তত একবার হট-অয়েল ম্যাসাজ প্রয়োজন। দরকারে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ভদকা ব্যবহার করতে পারেন। চুল ঝলমলে রাখবে, পুষ্টিও জোগাবে।
স্ক্রাবার হিসেবে এই সময় কফি ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে চিনিও মেশাতে পারেন। এটা ত্বক আর্দ্র রাখে, আবার পরিষ্কারও করে। শীতে বডি লোশন সকলেই ব্যবহার করেন। তবে এই সময়টায় এমন বডি লোশন কিনুন, যাতে শিয়া বাটার আছে। এটা শুধু ত্বক মোলায়েমই করে না, ঔজ্জ্বল্যও বাড়ায়। এছাড়া আমন্ড অয়েল, কোকো বাটার এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সপ্তাহে দুই দিন বডি ম্যাসাজ করুন। উপকার পাবেন।
ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন অরেঞ্জ-চকোলেট বাম। চার-পাঁচ টুকরো চকোলেট গলিয়ে তার মধ্যে তিন-চার কোয়া কমলালেবুর রস মিশিয়ে একটা ছোট কৌটোর মধ্যে রেখে দিন। রোজ রাতে এই হোমমেড বাম ঠোঁটে আধঘণ্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শীতকালে সবচেয়ে উপকারী এগ-হানি ফেস মাস্ক। ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু এবং এক টেবিলচামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগান।
সপ্তাহে দুই-তিন বার ফুট স্ক্রাব করুন। অ্যাভোকাডো স্ম্যাশ করে দুই চা-চামচ কর্নমিল মিশিয়ে পায়ে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ফুট ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন।