নিউজ ডেস্ক:
তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শক্তিও কমে আসে। দীর্ঘদিন ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বসবাসের পর আপনার পরিপাকতন্ত্রের শক্তি ও তাপ সংরক্ষণের গতি ধীর হয়ে আসে।
এমন সময়ে সিঁড়ি দিয়ে নেমে একটু হেঁটে আসা বা কিচেনে এক ঘন্টার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা হয়তো শেষমেষ আপনার সহায়ক নাও হতে পারে। সুতরাং এখানে আপনার জন্য রইল এমন কয়েকটি খাদ্যের তালিকা যেগুলো আপনাকে শীতের মধ্যেও উষ্ণ রাখবে:
১. শুকনো খাবার এবং বাদাম
আমাদের অনেকেই সকালবেলায় খাদ্যশস্যের সঙ্গে দুধ খাই যাতে দিনের বাকী সময়টুকু উদ্যম ধরে রাখা যায়। দিনের বেলায় আপনার শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য আপনি এর সঙ্গে কাজুবাদাম, আখরোট এবং পেস্তা বাদামও যুক্ত করতে পারেন। ডালিয়া বা ওটযুক্ত খাদ্যশস্য বা উষ্ণ দুধের সঙ্গে আরো রাখার চেষ্টা করুন খোবানি, কিশমিশ এবং ডুমুরের মতো শুকনো খাদ্য।
২. মরিচ, মেথি এবং হিঙ
ভারতীয় খাদ্য উচ্চ গুনগত মানসম্পন্ন হওয়ার কারণ প্রতিবেলা খাবারের সঙ্গে নানা ধরনের মশলা ব্যবহার কনা হয়। সচরাচর যে মশলাগুলো আপনার দেহের আকার ঠিক রাখবে এবং খাবারকে আরো সুস্বাদু করবে সেগুলো হলো সরিষা, আসাফেতিদা (হিঙ), কালো মরিচ, মেথি, জিরা বীজ এবং শুলফা বীজ। শীতকালে ফ্লু ভাইরাস বা ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হওয়াটা একটা সাধারণ ঘটনা। গবেষণায় দেখা গেছে, সবজি বা চিকেন স্যুপ এর মতো উষ্ণ তরল আপনাকে ফ্লু বা ঠাণ্ডা থেকে সুরক্ষিত রাখবে। এছাড়া আপনার রুটি এবং ডালের সঙ্গে শুকনো মেথি যোগ করে খেলে আপনি শুধু ক্ষুধা বর্ধক খাবারই পাবেন না বরং আপনার দেহেও উষ্ণতা উপাদন হবে।
৩. তুলসী এবং আদা
শীতের তীব্রতা দূর করতে তুলসি মিশ্রিত এককাপ গরম চা এর বিকল্প আর কিছুই হতে পারে না। ভারতীয় ঐতিহ্যে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে তুলসির উল্লেখ করা হয়েছে পবিত্র গুল্ম হিসেবে। কারণ এর রয়েছে বহুমুখি উপকারিতা। তুলসির রয়েছে ব্যাকেটিরায়ারোধী, জীবাণু প্রতিরোধী, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধী উপাদান। এসব উপাদান দেহকে সুস্থ রাখতে বেশ সহায়ক ভুমিকা পালন করে। আপনি এই বহুমুখী ঔষধী গাছটাকে শুধু চা নয় বরং আপনার সালাদ এবং স্যুপেও যুক্ত করতে পারেন। অন্যদিকে, আদা বীজ চা থেকে শুরু করে খাদ্যের সঙ্গে নানা উপায়ে ব্যবহরা করা যায়। আর গলায় সমস্যা হলে আপনি কাঁচা আদাও খেতে পারেন।
৪. মূল শাকসবজি এবং সবুজ শাক সবজি
গাজর, পেঁয়াজ, স্পিনাক, সবুজ শীম, অমরনাথ এগুলো হলো সেসব খাদ্যের কয়েকটি যা আপনাকে একই সঙ্গে এই শীতে উষ্ণ এবং স্বাস্থ্যবান রাখবে। এসব খাদ্য বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি এর মতো সমৃদ্ধ পুষ্টিউপাদানের উৎস। ডাল, শাকসবজি এবং স্যুপে এসব যুক্ত করার মাধ্যমে আপনি এমন খাদ্য ভাণ্ডারের উপকারিতা পাবেন যা আপনার ফিটনেস রুটিনের পরিপূরক হবে।
৫. পূর্ণ শস্য খাদ্য এবং ডাল
বাজরা, জোয়ার, ভুট্টা, বার্লি ও রাগি এগুলো হলো কয়েকটি সচরাচর পুর্ণ শস্য খাদ্যের উদারহণ যা আপনার রুটির অন্তর্ভুক্ত হতে পারে এবং আপনার জরানের সঙ্গী হতে পারে যাতে আপনি শীতের খাদ্যের মজাটুকু উপভোগ করতে পারেন। একইভাবে মুগ ডাল এর মতো ডালও রাতের খাবারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। হালুয়া বানিয়েও খেতে পারেন।
৬. ঘি
ভয় পাবেন না। ঘি আপনার শত্রু নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘি হলো একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি। যা আপনার দেহের বাজে চর্বি দূর করে দেহের আকারি ঠিক রাখে। তার মানে এই নয় যে আপনি এর ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়বেন। প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ (১৫গ্রাম) পরিমাণ ঘি খেলে আপনি এর নানা ধরনের উপকারিতা পাবেন। যেমন, সুন্দর ত্বক, মেদহীন শরীর এবং জানুয়ারির শীতের সকালে উষ্ণতার ছোয়া।