N D :মানিকগঞ্জের সাত উপজেলার কৃষক এখন পুরোদমে শীতকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত। গেল মৌসুমে অকাল বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এবার আগের ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ারও আশা করছেন।
তবে বিরূপ আবহাওয়ার ভয় তাদের মনে থেকেই যাচ্ছে। কৃষকরা মনে করছেন, কেবল আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমির সবজি। যার পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। মৌসুমের শুরুতেই জেলার সাতটি উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৭ হাজার হেক্টরে। চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন সবজির উৎপাদন হবে।
সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সবজি চাষী সুজন মিয়া জানান, গত বছর তিনি ৫ বিঘা জমিতে সবজির আবাদ করেছিলেন। বন্যায় তার প্রায় দুই লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এবার তিনি ওই জমিতে আবার ফুল কপির আবাদ করেছেন। জমি তৈরি, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে বিঘাপ্রতি ১ লাখ টাকা করে লাভ পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এখন নানা জাতের সবজির আবাদ চলছে। তবে, আগাম জাতের সবজি ইতিমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় চাষিরা আবাদ করছেন লাউ, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লালশাক, পালংশাক, ধনিয়া, ঢেঁড়শ, উচ্ছে, বরবটি, টমেটো ও বেগুন।
ধুল্লা গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেন জানান, ফলন ভাল হলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। স্থানীয় চাষিরা সারা বছরই সবজি চাষের সাথে জড়িত। সবজির আবাদ করেই কৃষকরা সংসারের যাবতীয় খরচ চালিয়ে আসছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে সার বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। এবার সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।