বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে ব্যয় বিভাজন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ’
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও রূপরেখা তুলে ধরেন নবনিযুক্ত মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে আর্থিকভাবে সক্ষম ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সংস্কৃতি খাতে দেশের জিডিপি’র কমপক্ষে তিন শতাংশ সরকারি বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুরুতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সংস্কার, পরিচালন-নীতি, আইন-প্রবিধানমালা বিষয়ে করণীয় নিয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি কেবল আনন্দ-বিনোদনের ক্ষেত্র নয়, এটি একটি নান্দনিক উপস্থাপনা যার মাধ্যমে কোনো জাতির জীবনীশক্তির প্রতিফলন ঘটে। ’
মহাপরিচালক বলেন, ‘একক জাতি, রাষ্ট্র ও মতাদর্শ ভিত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চাকে একাডেমি সর্বদা ‘না’ বলবে। বরং, বহু জাতি, বহু ভাষা, বহু ধর্ম, বহু ভাবাদর্শ ভিত্তিক সৃষ্টি-সৌন্দর্য্য-আনন্দের এক সংলাপাত্মক জনগণতান্ত্রিক শিল্প-পরিসর রূপে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ’
পরে, সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তার পর্বে তিনি বলেন, ‘রাজধানী কেন্দ্রিকতা শুধু নয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোকে সক্রিয় করে কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে অ্যাকাউন্ট অ্যাসিট্যান্টসহ বেশ কিছু পদ সৃজন করা হবে। ’
স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যেমে একাডেমি সংক্রান্ত কাঠামো ও অবকাঠামোগত কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি। এছাড়া একাডেমিকে গবেষণা ও চর্চায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এগিয়ে নিতে তথ্য ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সব গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ ও অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।