আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে গতকাল সোমবার দুপুরে পদত্যাগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।
আবদুল বাছির ঢাবি উপাচার্য বরাবর দেওয়া পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি কলা অনুষদের ডিনের পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন। ’
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে কলা অনুষদের সামনে অধ্যাপক বাছিরের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক এ বি যুবায়ের। দুপুর ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কলা ভবনের তৃতীয় তলায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক বাছিরের কক্ষ থেকে তাঁকে কলা অনুষদের ডিন অফিসে নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি অনুষদের অফিশিয়াল প্যাডে পদত্যাগপত্র লিখে তাতে স্বাক্ষর করেন।
অন্যদিকে অধ্যাপক নিসার হোসেন উপাচার্য বরাবর দেওয়া পদত্যাগপত্রে লেখেন, “আমি চারুকলা অনুষদের নীল দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
উল্লেখ্য, চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত একটি পত্র গত ১৮ আগস্ট আমার অনুপস্থিতিতে আমার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে, যা আমি অফিস সহকারী মারফত অদ্য ১৯ আগস্ট আমি পেয়েছি। চারটি দাবিসংবলিত পত্রের ১ নম্বর দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গণহত্যা ও স্বৈরাচারিতার পক্ষে অবস্থান করায় চারুকলা অনুষদের ডিন’-এর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ এবং পদত্যাগের দাবি কতটা যৌক্তিক তা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমার পক্ষ থেকে আবেদন করার কোনো সুযোগ বর্তমান পরিস্থিতিতে নেই। তাই আমি ওই অভিযোগ আমলে না নিয়েও আমাকে ডিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি। ”
এদিকে আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুরে বিভাগের সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন এবং অফিসগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন।